বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগ দিলেন বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার, গায়ক নকুল কুমার বিশ্বাস। তার যোগদান উপলক্ষ্যে রোববার (১৫ অক্টোবর) প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে দলটির পক্ষ থেকে যোগদান অনুষ্ঠানের আঢোজন করা হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে দলটির সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘লতিফ (সিদ্দিকী) ভাইয়ের সঙ্গে আমার সবসময় বিরোধ আছে। মরার আগ পর্যন্ত থাকবে। হাসানুল হক ইনুরা ডাকলে বড়ভাই যাবে। আমি মরলেও যাব না। হাসানুল হক ইনুদের জন্য, জাসদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে মরতে হয়েছে। অন্য কারও জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে ১৭ নভেম্বরের ক্যু এর মাধ্যমে যেদিন বের করে আনা হয় সেদিন হাসানুল হক ইনু ট্যাংকের ওপর নেচেছিলেন। আমার বোন শেখ হাসিনা তাকে মেনে নিতে পারে, আমি কাদের সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সন্তান, আমি এক দিনের জন্যও তাকে মেনে নেব না।’
মতিয়া চৌধুরী প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মতিয়া চৌধুরীর কথা বলি কারও কারও কষ্ট হয়, কেউ মনে করে এতে শেখ হাসিনা অসন্তুষ্ট হতে পারে, হতেই পারে। শেখ হাসিনার অসন্তুষ্টির জন্য আমি আল্লাহর অসন্তুষ্টি মেনে নেব এই মানসিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করি নাই।’
তিনি বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরী এখন বুড়া হয়ে গেছে, তাও গলায় যে জোর। যৌবনকালে তার গলায় কি জোর ছিল তা আমি শুনেছি, আপনারা নাও শুনতে পারেন। শেখ মুজিবের পিঠের চামড়া দিয়ে তিনি ডুগডুগি বাজাবেন, জুতা বানাবেন। সেই মানুষকে দুনিয়ার সবাই মেনে নিতে পারে, আমি মেনে নিতে পারি না।’
গায়ক নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কাজ করতে চাই বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম। পরে বড় একটা দলের থেকে ফোন এলো। আমি বললাম, কয়েকমাস আগেও আমি ‘ইনটেক’ ছিলাম, এখন আমি ‘টেক’ হয়ে গেছি। তিনি গানে গানে বলেন, ‘আমি হতে চাই না কোন নেতার চামচা, তাই বুঝে শুনে বুকে তুলেছি বঙ্গবীরের গামছা।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।