রাজনৈতিক কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। এ ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
শনিবার বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এ বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন।
এতে বলা হয়, বিএনপি কর্মীদের হামলায় অন্তত ১০ জন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আহত পাঁচ সাংবাদিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল।
বিবৃতিতে বিএফইউজের নেতারা জানান, শনিবার বিএনপির ডাকা সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালাতে গেলে সেই দৃশ্য ধারণ করেন সাংবাদিকরা। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। তারা হামলা করেন সাংবাদিকদের ওপর।
এসময় হামলার শিকার হন দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট শেখ নাসির। তার ওপর হামলা করে বিএনপির কর্মীরা রাজারবাগ এলাকায় একুশে টেলিভিশনের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। আহত হন একুশে টিভির সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান। নাইটেঙ্গেল মোড়ে ভাঙচুর করা হয় যমুনা টেলিভিশনের একটি গাড়ি।
এদিকে আরামবাগ মোড়ে নটরডেম কলেজের সামনে বিএনপির কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন ভোরের কাগজের ফটো সাংবাদিক মাসুদ পারভেজ আনিস। তিনি জানিয়েছেন, তাকে মারধর করে ক্যামেরা নিয়ে গেছে যুবদল কর্মীরা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পোস্টার-ফেস্টুনে রাস্তার মাঝে আগুন দেওয়ার ছবি তুলতে গেলে তারা হামলা চালায়।
নয়াপল্টন সংলগ্ন নাইটেঙ্গেল মোড়ে বিএনপি কর্মীদের হাতে আহত হয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক মারুফ।
হামলায় মারাত্মক আহত হন দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক রাফসানজানি। প্রাণ বাঁচাতে তিনি সেগুনবাগিচার দিকে দৌড় দিলে হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে রাফসান রাস্তায় পড়ে যান। এসময় তার মাথা ও শরীরে আঘাত করা হয়। পরে অন্য সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।
সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা যাতে কোনো ছাড় না পায় তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বিএফইউজের নেতারা।