বগুড়ার রাজাবাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন ৬ হাজার কেজি আলু সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে।
এদিকে বগুড়ার বাজারে ব্যবসায়ীরা তিন টন ভারতীয় আলু এনেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে পাইকারি বাজারে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানা গেছে। ভারতীয় আলু আমদানি ও সরকারি মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হওয়ায় প্রতি কেজি আলু দাম ৮ থেকে ১০ টাকা কমেছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজাবাজারে আলু ব্যবসায়ী রায়হান আলী জানান, কোল্ডস্টোরেজে আলুর দাম কমেছে, তাই পাইকারি বাজারেও কমেছে।
আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি কোল্ডস্টোরেজের মাধ্যমে প্রাপ্ত আলু সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতলুবর রহমান বলেন, কিছু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীর কারণে এ বছর আলুর দাম বেড়েছে। এখনো স্টোরে অনেক আলু আছে তাই মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীদের সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ ভারত থেকে আলু আসছে। তারা যদি সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করে তবে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবেন।
বগুড়া রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, বাজারে তিন টন ভারতীয় আলু এসেছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় আলুর সরবরাহ যত বাড়বে তত দাম কমে আসবে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বাজারে প্রতিদিন আলু রাখতে কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুদ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।