দরবার শরীফে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর

আবদুল লতিফ লায়ন জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর
দরবার শরীফে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে রাতের আধারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দরবার শরীফের পীর খাজা তৌহিদুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করে এবং ৭৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটতরাজ ও ভাংচুর করে। ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সোমবার রাতেই পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নামীয় আসামী ২২ জন। অজ্ঞাতনামা আসামী ৫০/৬০ জন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা।

জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের পীর সাহেব খাজা শাহীন কয়েক মাস আগে মারা যায়। শাহীন খাজা মারা যাওয়ার পর ভক্ত বা জাকেরদের সমার্থনে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের গদ্দীনশীন হন শাহীন খাজার ছোট ভাই খাজা তৌহিদুল্লাহ। খাজা তৌহিদুল্লাহ গদ্দীনশীন হওয়ার পর থেকেই তারই ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইম গদ্দীনশীন হওয়ার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ দরবার শরীফে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর জেল ধরেই ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে সন্ত্্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় নামীয় ২২জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন লোক রাম দা, লাঠিফালা ও লোহার সাবলসহ আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে প্রবেশ করে তান্ডব চালায়। হামলকারীরা দরবার শরীফের পীর তৌহিদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে খোজঁখোজি করতে থাকে। তাকে না পেয়ে অস্ত্রের মুখে দরবার শরীফের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ ৯লাখ ৬২ হাজার টাকা ও ৫ লাখ টাকার সমপরিমান স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করে নেয়। একই সময় হামলাকারীরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার সমপরিমান বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে নামীয় ২২জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রধান আসামী করা হয়েছে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইমকে।

ঘটনার পর হামলার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা সাইম খাজার বাড়ীতে গিয়ে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফলে ঘটনার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে অভিযোগের বাদী অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ শতভাগ সত্য।

এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দরবার শরীফে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর

দরবার শরীফে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফে রাতের আধারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা দরবার শরীফের পীর খাজা তৌহিদুল্লাহকে হত্যার চেষ্টা করে এবং ৭৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটতরাজ ও ভাংচুর করে। ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সোমবার রাতেই পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে নামীয় আসামী ২২ জন। অজ্ঞাতনামা আসামী ৫০/৬০ জন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা।

জানা যায়, জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের দক্ষিন দত্তেরচর গ্রামের আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের পীর সাহেব খাজা শাহীন কয়েক মাস আগে মারা যায়। শাহীন খাজা মারা যাওয়ার পর ভক্ত বা জাকেরদের সমার্থনে আজমীরগঞ্জ দরবার শরীফের গদ্দীনশীন হন শাহীন খাজার ছোট ভাই খাজা তৌহিদুল্লাহ। খাজা তৌহিদুল্লাহ গদ্দীনশীন হওয়ার পর থেকেই তারই ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইম গদ্দীনশীন হওয়ার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ দরবার শরীফে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এর জেল ধরেই ৬ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৮ টার সময় আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে সন্ত্্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার সময় নামীয় ২২জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জন লোক রাম দা, লাঠিফালা ও লোহার সাবলসহ আজমেরীগঞ্জ দরবার শরীফে প্রবেশ করে তান্ডব চালায়। হামলকারীরা দরবার শরীফের পীর তৌহিদুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে খোজঁখোজি করতে থাকে। তাকে না পেয়ে অস্ত্রের মুখে দরবার শরীফের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ ৯লাখ ৬২ হাজার টাকা ও ৫ লাখ টাকার সমপরিমান স্বর্ণালংকার লুটতরাজ করে নেয়। একই সময় হামলাকারীরা প্রায় ৬০ লাখ টাকার সমপরিমান বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর বড় ভাই অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে নামীয় ২২জনসহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রধান আসামী করা হয়েছে পীর খাজা তৌহিদুল্লাহর ১৯ বছর বয়সী ভাতিজা খাজা সাইমকে।

ঘটনার পর হামলার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানার জন্য গণমাধ্যম কর্মীরা সাইম খাজার বাড়ীতে গিয়ে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ। ফলে ঘটনার বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত সাইম খাজার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে অভিযোগের বাদী অধ্যক্ষ খাজা শাহনেওয়াজ জানান, ঘটনার বিষয়ে আমি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগ শতভাগ সত্য।

এব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরই আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত