ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় যশোরের বেনাপোলে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ১৮০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০-৯০ আর দেশি ১০০-১১০ টাকা প্রতি কেজি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দেশে সংকট দেখিয়ে আগামী ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত সরকার।
সরেজমিন প্রতিবেদনে এক অনলাইন সংবাদমাধ্যম জানায়, বেনাপোলের পাইকারি বাজারে বৃহস্পতিবার প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩,০০০ থেকে ৩,২০০ টাকায়। দুই দিন ধরে পাইকারি বাজারে দাম গিয়ে ঠেকেছে ৫,২০০ থেকে ৫,৬০০ টাকায়।
পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন বেড়ে যাওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। হঠাৎ কেজিতে ৫০-৬০ টাকা দাম বাড়ায় ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বেনাপোল বাজারের কামাল হোসেন নামে এক ক্রেতা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “পেঁয়াজের বাজার এভাবে বাড়তে থাকলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হবে। কয়েক দিন পরপরই এভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিন আগেও ৮৫-৯০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ দেখি দেশি পেঁয়াজ ১৮০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১৬০ টাকা কেজি। এভাবে হলে আমরা অল্প আয় দিয়ে বাঁচব কী করে?”
আরেক ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, “বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো তদারকি না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন তারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
বেনাপোল বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শুকুর আলী বলেন, “পাইকারি বাজারে আমদানি কম ও ভারতীয় পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়েছে। এতে আমাদের বিক্রিও নেমেছে অর্ধেকে।”
গত এক মাসে ভারত থেকে ৫৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জমিতে পেঁয়াজ রোপণ শুরু হয়েছে। ওই পেঁয়াজ বাজারে আসতে কমপক্ষে আরও দুই মাস সময় লাগবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে মনে করেন বেনাপোল চেকপোস্টর কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার।