আজ মাদারীপুর মুক্ত দিবস

মাসুদ রেজা ফিরোজী জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর
আজ মাদারীপুর মুক্ত দিবস
ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে মাদারীপুর শত্রু মুক্ত করেন। তাই ১০ ডিসেম্বর মাদারীপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

ডিসেম্বর প্রথম দিক থেকেই মাদারীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা এক পর এক আক্রমণের কারণে এক সময়ে পাক হানাদার বাহিনী পালাবার পরিকল্পনা করে। এ দিকে তাদের এই পালাবার পরিকল্পনা কলাগাছিয়ায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে খলিল বাহিনীর কাছে গোয়েন্দা মারফত খবরটি পৌঁছে যায়।

৮ ডিসেম্বরে কমান্ডার খলিল খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সারারাত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার ব্রিজের চতুর্দিকে অবস্থান নিয়ে থাকেন। ব্রিজটিকে আগেই আলমগির হোসেনের জেড ফোর্সের মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দিয়ে ছিল। এই কারণে শত্রু বাহিনী গাড়ি থেকে নেমে পায় হেঁটে ব্রিজ এলাকা পার হচ্ছিল। ঠিক তখনেই মুক্তিযোদ্ধারা চতুর্মুখী আক্রমণ করে। শুরু হয় যায় তুমুল যুদ্ধ। এ যুদ্ধ একটানা ৩দিন ২রাত পর্যন্ত চলেছিল। যুদ্ধে ব্যবহার হয়ে ছিল ভারি মেশিনগান, মর্টার, এসএমজি, এলএমজি, এসএলআর, রাইফেল আর গ্রেনেডের গর্জনে ফলে তখন প্রকম্পিত হয়েছিল জনপদ। এসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল গ্রামবাসীরা।

১০ ডিসেম্বরে এ যুদ্ধে শিবচর, কালকিনিসহ আশেপাশের মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ গ্রহণে যুদ্ধ আরো তীব্রতর হয়েছিল। যুদ্ধের এক সময়ে শত্রু বাহিনীর বুলেট আঘাতে শহিদ হন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন বাচ্চু এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আখতারুজ্জামান।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ৪০ জন পাক সেনা নিহত হয়। সন্ধ্যায় মেজর ঘটকের নেতৃত্বে ৭০ জন পাকসেনা ও ক্যাপ্টেন সাঈদ কমান্ডার খলিলুর রহমান খানের কাজে তাদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। মাদারীপুর হয় শত্রুমুক্ত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আজ মাদারীপুর মুক্ত দিবস

আজ মাদারীপুর মুক্ত দিবস
ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করে মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে মাদারীপুর শত্রু মুক্ত করেন। তাই ১০ ডিসেম্বর মাদারীপুর মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

ডিসেম্বর প্রথম দিক থেকেই মাদারীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা এক পর এক আক্রমণের কারণে এক সময়ে পাক হানাদার বাহিনী পালাবার পরিকল্পনা করে। এ দিকে তাদের এই পালাবার পরিকল্পনা কলাগাছিয়ায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে খলিল বাহিনীর কাছে গোয়েন্দা মারফত খবরটি পৌঁছে যায়।

৮ ডিসেম্বরে কমান্ডার খলিল খানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সারারাত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার ব্রিজের চতুর্দিকে অবস্থান নিয়ে থাকেন। ব্রিজটিকে আগেই আলমগির হোসেনের জেড ফোর্সের মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দিয়ে ছিল। এই কারণে শত্রু বাহিনী গাড়ি থেকে নেমে পায় হেঁটে ব্রিজ এলাকা পার হচ্ছিল। ঠিক তখনেই মুক্তিযোদ্ধারা চতুর্মুখী আক্রমণ করে। শুরু হয় যায় তুমুল যুদ্ধ। এ যুদ্ধ একটানা ৩দিন ২রাত পর্যন্ত চলেছিল। যুদ্ধে ব্যবহার হয়ে ছিল ভারি মেশিনগান, মর্টার, এসএমজি, এলএমজি, এসএলআর, রাইফেল আর গ্রেনেডের গর্জনে ফলে তখন প্রকম্পিত হয়েছিল জনপদ। এসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল গ্রামবাসীরা।

১০ ডিসেম্বরে এ যুদ্ধে শিবচর, কালকিনিসহ আশেপাশের মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ গ্রহণে যুদ্ধ আরো তীব্রতর হয়েছিল। যুদ্ধের এক সময়ে শত্রু বাহিনীর বুলেট আঘাতে শহিদ হন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন বাচ্চু এবং গুরুতর আহত হয়েছেন আখতারুজ্জামান।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণে ৪০ জন পাক সেনা নিহত হয়। সন্ধ্যায় মেজর ঘটকের নেতৃত্বে ৭০ জন পাকসেনা ও ক্যাপ্টেন সাঈদ কমান্ডার খলিলুর রহমান খানের কাজে তাদের অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। মাদারীপুর হয় শত্রুমুক্ত।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত