এটা নির্বাচন-নির্বাচন খেলা: বদিউল আলম মজুমদার

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
এটা নির্বাচন-নির্বাচন খেলা: বদিউল আলম মজুমদার
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ভোটাভুটির একটা খেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

রোববার আইডিবি ভবনে ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ভোটবিডি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমি তো আসন্ন নির্বাচনকে নির্বাচনই মনে করি না। অ্যাক্ট অব চয়েজ বলে একটা কথা আছে। বিকল্প না থাকলে তো নির্বাচন হয় না। নির্বাচন নির্বাচন খেলা হতে পারে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি তৃষ্ণার্ত, আপনাকে যদি এক গ্লাস ট্যাপের পানি দেওয়া হয় আর আরেক গ্লাস মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হয়; আপনি কোনটা নেবেন? আপনি আমাদের দেশের যে ট্যাপের পানি সেটা কি নেবেন? নেবেন না। আবার আপনাকে যদি এক গ্লাস সেদ্ধ পানি ও আরেক গ্লাস মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হয়, তাহলে কোনটা নেবেন? আপনার মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা থাকবে। কারণ, দুটো পানিই নিরাপদ। আপনি বলতে পারবেন না তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি মিনারেল পানিই খাবেন। ঠিক নির্বাচন হতে হলে যথার্থ বিকল্প থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন, যেখানে আমরা বলি— আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হচ্ছে দুটো ব্র্যান্ড। বিএনপি যদি না থাকে, এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ চাইলে সব আসনে জিততে পারে। এখন তারা অন্যদের কিছু সিট দেওয়ার জন্য আসন ভাগাভাগি করছে এবং প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। নিজেদের অনুগত, নিজেদের সৃষ্ট নামসর্বস্ব দলগুলোর সঙ্গে। একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন— জাতীয় পার্টি দ্বারা মনোনীত ও আওয়ামী লীগ দ্বারা সমর্থিত। তাহলে এটাতে প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। এটা ভোটের খেলা, নির্বাচন-নির্বাচন খেলা, যা নির্বাচনী সংজ্ঞায় পড়ে না।

সুজন সম্পাদক বলেন, গত দুটি যে বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, যেটার কারণে সরকারের যে লেজিটিমেসি (বৈধতা/ন্যায্যতা) সমস্যা তা আরো ভয়াবহ হবে। সরকার কিন্তু এই লেজিসলেটিভ সমস্যা দূরীভূত করতে পারবে না। বরং আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। কারণ, আমাদের নির্বাচনে কিন্তু আরো অনেকের চোখ আছে। অতীতে কিন্তু এই চোখ ছিল না। এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের আরো বিদেশি বন্ধুদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আমাদের সার্বভৌমত্বও ক্ষুণ্ন হতে পারে। বিস্তৃত বলবো না, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেতে পারি।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন; যা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে শেষ করছে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। সুতরাং বর্তমান সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এটা নির্বাচন-নির্বাচন খেলা: বদিউল আলম মজুমদার

এটা নির্বাচন-নির্বাচন খেলা: বদিউল আলম মজুমদার
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ভোটাভুটির একটা খেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

রোববার আইডিবি ভবনে ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ভোটবিডি ওয়েবসাইট সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমি তো আসন্ন নির্বাচনকে নির্বাচনই মনে করি না। অ্যাক্ট অব চয়েজ বলে একটা কথা আছে। বিকল্প না থাকলে তো নির্বাচন হয় না। নির্বাচন নির্বাচন খেলা হতে পারে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আপনি তৃষ্ণার্ত, আপনাকে যদি এক গ্লাস ট্যাপের পানি দেওয়া হয় আর আরেক গ্লাস মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হয়; আপনি কোনটা নেবেন? আপনি আমাদের দেশের যে ট্যাপের পানি সেটা কি নেবেন? নেবেন না। আবার আপনাকে যদি এক গ্লাস সেদ্ধ পানি ও আরেক গ্লাস মিনারেল ওয়াটার দেওয়া হয়, তাহলে কোনটা নেবেন? আপনার মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা থাকবে। কারণ, দুটো পানিই নিরাপদ। আপনি বলতে পারবেন না তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি মিনারেল পানিই খাবেন। ঠিক নির্বাচন হতে হলে যথার্থ বিকল্প থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন, যেখানে আমরা বলি— আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হচ্ছে দুটো ব্র্যান্ড। বিএনপি যদি না থাকে, এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, আওয়ামী লীগ চাইলে সব আসনে জিততে পারে। এখন তারা অন্যদের কিছু সিট দেওয়ার জন্য আসন ভাগাভাগি করছে এবং প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। নিজেদের অনুগত, নিজেদের সৃষ্ট নামসর্বস্ব দলগুলোর সঙ্গে। একমাত্র বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি হয়েছে। জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন— জাতীয় পার্টি দ্বারা মনোনীত ও আওয়ামী লীগ দ্বারা সমর্থিত। তাহলে এটাতে প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। এটা ভোটের খেলা, নির্বাচন-নির্বাচন খেলা, যা নির্বাচনী সংজ্ঞায় পড়ে না।

সুজন সম্পাদক বলেন, গত দুটি যে বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, যেটার কারণে সরকারের যে লেজিটিমেসি (বৈধতা/ন্যায্যতা) সমস্যা তা আরো ভয়াবহ হবে। সরকার কিন্তু এই লেজিসলেটিভ সমস্যা দূরীভূত করতে পারবে না। বরং আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। কারণ, আমাদের নির্বাচনে কিন্তু আরো অনেকের চোখ আছে। অতীতে কিন্তু এই চোখ ছিল না। এই সমস্যা দূর করার জন্য আমাদের আরো বিদেশি বন্ধুদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে আমাদের সার্বভৌমত্বও ক্ষুণ্ন হতে পারে। বিস্তৃত বলবো না, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেতে পারি।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন; যা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে শেষ করছে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা অসাংবিধানিক। সুতরাং বর্তমান সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত