নিজেদের নিরাপদে রেখে আন্দোলন ফলপ্রসূ হবে না

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
নিজেদের নিরাপদে রেখে আন্দোলন ফলপ্রসূ হবে না
ছবি: সংগৃহীত

আইয়ুব খানের সময় ভয় ও ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর এখন পুলিশ বাহিনীর অধীনে ‘গেস্টাপো বাহিনী’ বানিয়ে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেকে নিরাপদে রেখে আন্দোলন করলে ফল আসবে না। কারণ, এই সরকার ১৯৬৯ সালের সরকারের মতো নয়।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন লুটেরা ব্যবসায়ীদের রক্ষাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আইয়ুব খানের সময় ভয় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর আজ পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর অধীনে ‘গেস্টাপো বাহিনী’ বানিয়ে হেলমেট পরে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে।

বিদেশিদের ‘পদলেহন’ করে বাংলাদেশের ন্যূনতম মর্যাদা রক্ষা করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সীমান্তে সাধারণ মানুষ মরছে। এখন বিজিবি সদস্যও মরছে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না।

১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি আর ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি এক কথা নয় বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি বলেন, এখন অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ্রাস করে বসে আছে। তাই আজকের লড়াই শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। রাজনৈতিক লড়াই, রুটি-রুজির লড়াই এবং সার্বভৌমত্বের লড়াই এক ও অভিন্ন হয়ে গেছে।

ত্যাগের মধ্য দিয়েই বিজয় অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না)। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেকে নিরাপদে রেখে আন্দোলন করা যাবে না। কারণ, এটা ১৯৬৯ সালের রাষ্ট্র নয়। বর্তমান সরকারও সেই সরকার নয়। এসব বুঝে লড়াই করলে বিজয় পাওয়া যাবে।

সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভকে গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত করতে না পারায় আক্ষেপ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, তবে আশার বিষয় হচ্ছে ভোটের দিন কেন্দ্রে না গিয়ে মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে ন্যাপের নেতৃত্বে মাওলানা ভাসানীর নির্দেশে। এই গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই মুসলিম লীগ শেষ হয়ে যায়। এর দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানও শেষ হয়ে যায়। বর্তমান আওয়ামী লীগের পরিস্থিতিও এমনই হতে যাচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের আহ্বায়ক ফয়জুল হাকিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নিজেদের নিরাপদে রেখে আন্দোলন ফলপ্রসূ হবে না

নিজেদের নিরাপদে রেখে আন্দোলন ফলপ্রসূ হবে না
ছবি: সংগৃহীত

আইয়ুব খানের সময় ভয় ও ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর এখন পুলিশ বাহিনীর অধীনে ‘গেস্টাপো বাহিনী’ বানিয়ে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। বর্তমান সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেকে নিরাপদে রেখে আন্দোলন করলে ফল আসবে না। কারণ, এই সরকার ১৯৬৯ সালের সরকারের মতো নয়।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে গণসংহতি আন্দোলন।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন লুটেরা ব্যবসায়ীদের রক্ষাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আইয়ুব খানের সময় ভয় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছিল। আর আজ পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর অধীনে ‘গেস্টাপো বাহিনী’ বানিয়ে হেলমেট পরে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে।

বিদেশিদের ‘পদলেহন’ করে বাংলাদেশের ন্যূনতম মর্যাদা রক্ষা করা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, সীমান্তে সাধারণ মানুষ মরছে। এখন বিজিবি সদস্যও মরছে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না।

১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি আর ২০২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি এক কথা নয় বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। তিনি বলেন, এখন অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ্রাস করে বসে আছে। তাই আজকের লড়াই শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। রাজনৈতিক লড়াই, রুটি-রুজির লড়াই এবং সার্বভৌমত্বের লড়াই এক ও অভিন্ন হয়ে গেছে।

ত্যাগের মধ্য দিয়েই বিজয় অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না)। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেকে নিরাপদে রেখে আন্দোলন করা যাবে না। কারণ, এটা ১৯৬৯ সালের রাষ্ট্র নয়। বর্তমান সরকারও সেই সরকার নয়। এসব বুঝে লড়াই করলে বিজয় পাওয়া যাবে।

সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভকে গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত করতে না পারায় আক্ষেপ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, তবে আশার বিষয় হচ্ছে ভোটের দিন কেন্দ্রে না গিয়ে মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে ন্যাপের নেতৃত্বে মাওলানা ভাসানীর নির্দেশে। এই গণ-অভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই মুসলিম লীগ শেষ হয়ে যায়। এর দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানও শেষ হয়ে যায়। বর্তমান আওয়ামী লীগের পরিস্থিতিও এমনই হতে যাচ্ছে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় গণফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের আহ্বায়ক ফয়জুল হাকিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত