যুদ্ধের ১১৪ দিন পর এখনো গাজায় হামাসের ৮০ শতাংশ সুড়ঙ্গ অক্ষত রয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনটিতে তারা উল্লেখ করেন, “ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে গত ৭ অক্টোবর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। ওই সময় তারা জানায়, গাজায় হামাসের সব সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার পাশাপাশি; তাদের পুরোপুরি নির্মূল করা হবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, “এখন পর্যন্ত হামাসের কত শতাংশ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে সেটি বোঝা মুশকিল। তবে তাদের ধারণা, হয়ত ২০ থেকে ৪০% সুড়ঙ্গ ধ্বংস অথবা ব্যবহারের অনুপযোগী করে দেওয়া হয়েছে।”
কিছু সুড়ঙ্গ বোমা মেরে ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু সুড়ঙ্গ সমুদ্রের পানি দিয়ে প্লাবিত করা হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়াটি অনেক ধীরগতিতে হচ্ছে কারণ এগুলোর ম্যাপ তৈরি করতে হচ্ছে, দেখতে হচ্ছে কোনো ফাঁদ পাতা আছে কি না। এছাড়া সুড়ঙ্গ ধ্বংসের আগে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। যেন এগুলোর ভেতরে থাকা কোনো জিম্মি ক্ষতিগ্রস্ত না হন।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, “তাদের সেনারা পুরো সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা ধ্বংস করার বদলে মূলকেন্দ্রগুলো নিয়ে কাজ করছে। যেখান থেকে হামাসের যোদ্ধারা অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি খুবই ধীরগতিতে করা হচ্ছে। কারণ এটি খুবই জটিল। এছাড়া এটি এমন একটি শহুড়ে যুদ্ধ যা বিশ্বে আগে কখনো দেখা যায়নি।”
দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর ধারণা, “হামাসের গাজা প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কমান্ডাররা খান ইউনিসে সুড়ঙ্গের ভেতর আছেন এবং তাদের সঙ্গে ইসরায়েলি জিম্মিরাও রয়েছেন। আর এ কারণে এখন খান ইউনিসে তারা সামরিক অভিযানের নামের ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।”
ইসরায়েলি বাহিনী প্রথমে ধারণা করেছিল গাজায় হামাসের ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ আছে। কিন্তু বর্তমানে তারা বলছে গাজার মাটির নিচে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার সুড়ঙ্গ রয়েছে। যেখানে পুরো উপত্যকাটির আয়তন হলো মাত্র ২২৫ বর্গকিলোমিটার।