ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহ।
সোমবার (১ এপ্রিল) সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি। একইসঙ্গে হামলায় ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডসের (আইআরজিসি) দুজন সিনিয়র কমান্ডারসহ কয়েকজন কূটনীতিক মারা যাওয়ার ঘটনায় ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং নিজের ইহুদিবাদী লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার কারণে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্পূর্ণরূপে তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। সিরিয়ার ওপর সবশেষ চালানো এ হামলার মাধ্যমে সমস্ত কূটনৈতিক নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।’
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী ধরনের ‘প্রতিক্রিয়া ও শাস্তি’ কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে ইরান সিদ্ধান্ত নেবে।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলায় ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি) এর শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিসহ কমপক্ষে সাতজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
ইরান ও সিরিয়া এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে। তেহরানের ‘গুরুতর প্রতিক্রিয়া’র হুমকির পাশাপাশি ইরান-সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এই হামলার ‘শাস্তি ও প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে। ইরান আরও বলেছে, ইসরায়েলকে সমর্থন করার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ ঘটনায় ‘জবাবদিহি’ করতে হবে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, “ইসরায়েল বিশ্বাস করে যে, আঘাত হানার লক্ষ্যবস্তুটি ‘কুদস বাহিনীর একটি সামরিক ভবন’, যা বিদেশি অভিযানের জন্য দায়ী আইআরজিসির একটি ইউনিট।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এটি কোনো কনস্যুলেট নয় এবং এটি কোনো দূতাবাস নয়। এটি দামেস্কের বেসামরিক ভবনের ছদ্মবেশে কুদস বাহিনীর একটি সামরিক ভবন ছিল।’