পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে বের হয়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দেবীগঞ্জ পৌরসভার নতুনবন্দর এলাকায় দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজন হলেন- উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া-সুপারীতলা এলাকার বাছের আলীর ছেলে কাউসার আলী (১৫), একই এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে সাব্বির আলী (১৬), একই উপজেলার দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হাজীর মোড়-খাঁ পাড়া এলাকার মো. মজনুর ছেলে সাব্বির হোসেন (২০) এবং একই ইউনিয়নের বটতলী-খাঁ পাড়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে মো. বরকত আলী (২০)।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজন হলেন- দণ্ডপাল ইউনিয়নের লোহাগাড়া-সুপারীতলা এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া (১৫) ও দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের খাঁ পাড়া এলাকার মো. মুসলিমের ছেলে সোহেল (১৯)। দুইজনই বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন দুপুরে সাব্বির আলী তার মোটরসাইকেলে প্রতিবেশী কাউসার আলী ও জাকারিয়াকে নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে সোনাহার এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে সাব্বির হোসেন একটি মোটরসাইকেলে বরকত ও সোহেলকে নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার দিকে আসছিলেন। দেবীগঞ্জ-সোনাহার সড়কের নতুন বন্দর এলাকায় একটি ভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেল দুটির সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেলে থাকা ছয় আরোহী সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই কাউসার আলীর মৃত্যু হয়। স্থানীয় লোকজন আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে রংপুরে নেওয়ার পথে লোহাগাড়া-সুপারীতলা এলাকায় সাব্বির আলী মারা যান। সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাব্বির হোসেনের মৃত্যু হয়। রাতে একই হাসপাতালে মারা যান বরকত আলী।
দণ্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মমতাজ আলী তার এলাকার কাউসার আলী ও সাব্বির আলী মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া দেবীগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম তার এলাকার সাব্বির হোসেন ও বরকত আলীর মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
সাব্বির হোসেনের চাচাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় আমার ভাইসহ চারজন মারা গেছেন। আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।”
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, “চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।”