অবৈধ ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ

অবৈধ ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ
ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া।

ইটভাটার দূষণ শীত মৌসুমে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়। ঢাকা জেলায় সাড়ে ৫০০ ইটভাটা রয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকেরই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নাই। ইটভাটার দূষণে রাজধানীবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ইটভাটার সংখ্যা ৬ হাজার ৯৩০টি আর বছরে দেশে ইটের চাহিদা প্রায় দুই হাজার কোটি। যার বেশির ভাগই কৃষিজমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইট প্রস্তুত কারক মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ হাজার কোটি পোড়া মাটির ইট তৈরি করা হয়, যে জন্য ৩৮০০ হেক্টর কৃষি জমির কেটে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয় এইসব মাটি পোড়ানোর জন্য ৫০ লক্ষ টন কয়লা এবং ৩০ লক্ষ টন কাঠ ব্যাবহার করা হয়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সূত্রে জানা গেছে, অনেক ইটভাটায় উচ্চ মাত্রার সালফার ব্যবহার করা হয়। সালফারের পরিমাণ যাচাই না করে এসব ইটভাটায় কয়লা ব্যবহার করতে দেওয়ায় বায়ু দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক ভাটায় টায়ার ও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। এতেও অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে। ইটের রঙ সুন্দর দেখাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার হয়। এতে ইটভাটা এলাকার টিনের ঘরে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। ধান, অন্যান্য সবজি ও গাছের ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, শ্বাসনালির ক্ষতসহ নানা ধরেন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আবাদী জমিতে বা ভাটার তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টি গাছ বা বাগান থাকলে ভাটা স্থাপনের কোনো নিয়ম নেই। লোকালয় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে যেখানে জনবসতি নেই এমন জায়গায় ইটভাটা নির্মাণ করতে হবে। সারাদেশ উপজেলা গুলোতে কৃষি জমি ব্যবহার করেই প্রতি বছর গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন ইটভাটা। একই সাথে ইটভাটার জন্য সর্বোচ্চ ৩ একর জমি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ইটভাটায় এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। নদীপাড় সংলগ্ন এলাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব ভাটা গড়ে তুলছে।

এছাড়া ইটের ভাটার দিক থেকে দেখতে গেলে, ভাটায় কাজের জন্য অনেক লোকবলের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় বিপুল পরিমাণ জমি। তাছাড়া যে সকল দিনে বৃষ্টি হয় সেই সকল দিনে ভাটায় কর্ম বন্ধ থাকে।

যদিও আমাদের উন্নতি বিকাশের জন্য ইট অত্যন্ত জরুরী সেক্ষেত্রে ইট তৈরির ভাটাও জরুরী তবে তা পরিবেশ ধ্বংস করে নয়। পরিবেশকে স্বাস্থকর রেখে পোড়ানো ইট ব্যতীত বিকল্প কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইটভাটার ক্ষতিকর দিক হচ্ছে:

সাধারণত এই সকল ইটের ভাটা বসত বাড়ি, স্কুল কলেজ বিভিন্ন প্রকার প্রতিস্থানীক এলাকার আসে পাশে থাকায় সাধারন মানুষ এর নানা প্রকার রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে ছোট ছোট শিশুদের শারিরিক গঠন তথা স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে। ইটের ভাটার কালো বিষাক্ত ধোয়ার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অবৈধ ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ

অবৈধ ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ
ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া।

ইটভাটার দূষণ শীত মৌসুমে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছায়। ঢাকা জেলায় সাড়ে ৫০০ ইটভাটা রয়েছে, যার প্রায় অর্ধেকেরই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নাই। ইটভাটার দূষণে রাজধানীবাসী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ইটভাটার সংখ্যা ৬ হাজার ৯৩০টি আর বছরে দেশে ইটের চাহিদা প্রায় দুই হাজার কোটি। যার বেশির ভাগই কৃষিজমির উপরিভাগ (টপ সয়েল) থেকে সংগ্রহ করা হয়। ইট প্রস্তুত কারক মালিক সমিতির হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ হাজার কোটি পোড়া মাটির ইট তৈরি করা হয়, যে জন্য ৩৮০০ হেক্টর কৃষি জমির কেটে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয় এইসব মাটি পোড়ানোর জন্য ৫০ লক্ষ টন কয়লা এবং ৩০ লক্ষ টন কাঠ ব্যাবহার করা হয়। যার ফলে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সূত্রে জানা গেছে, অনেক ইটভাটায় উচ্চ মাত্রার সালফার ব্যবহার করা হয়। সালফারের পরিমাণ যাচাই না করে এসব ইটভাটায় কয়লা ব্যবহার করতে দেওয়ায় বায়ু দূষিত হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক ভাটায় টায়ার ও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। এতেও অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড তৈরি হচ্ছে। ইটের রঙ সুন্দর দেখাতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার হয়। এতে ইটভাটা এলাকার টিনের ঘরে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। ধান, অন্যান্য সবজি ও গাছের ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, শ্বাসনালির ক্ষতসহ নানা ধরেন মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আবাদী জমিতে বা ভাটার তিন কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টি গাছ বা বাগান থাকলে ভাটা স্থাপনের কোনো নিয়ম নেই। লোকালয় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে যেখানে জনবসতি নেই এমন জায়গায় ইটভাটা নির্মাণ করতে হবে। সারাদেশ উপজেলা গুলোতে কৃষি জমি ব্যবহার করেই প্রতি বছর গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন ইটভাটা। একই সাথে ইটভাটার জন্য সর্বোচ্চ ৩ একর জমি ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ইটভাটায় এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। নদীপাড় সংলগ্ন এলাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব ভাটা গড়ে তুলছে।

এছাড়া ইটের ভাটার দিক থেকে দেখতে গেলে, ভাটায় কাজের জন্য অনেক লোকবলের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় বিপুল পরিমাণ জমি। তাছাড়া যে সকল দিনে বৃষ্টি হয় সেই সকল দিনে ভাটায় কর্ম বন্ধ থাকে।

যদিও আমাদের উন্নতি বিকাশের জন্য ইট অত্যন্ত জরুরী সেক্ষেত্রে ইট তৈরির ভাটাও জরুরী তবে তা পরিবেশ ধ্বংস করে নয়। পরিবেশকে স্বাস্থকর রেখে পোড়ানো ইট ব্যতীত বিকল্প কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইটভাটার ক্ষতিকর দিক হচ্ছে:

সাধারণত এই সকল ইটের ভাটা বসত বাড়ি, স্কুল কলেজ বিভিন্ন প্রকার প্রতিস্থানীক এলাকার আসে পাশে থাকায় সাধারন মানুষ এর নানা প্রকার রোগ সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে ছোট ছোট শিশুদের শারিরিক গঠন তথা স্বাস্থের ক্ষতি হচ্ছে। ইটের ভাটার কালো বিষাক্ত ধোয়ার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত