সমাজে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষা। তার সাথে তৈরি করে একটি জাতির ভবিষ্যৎ। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই প্রাথমিক শিক্ষাকে সব নাগরিকের জন্য মৌলিক অধিকার হিসাবে ধরা হয়েছে। প্রতিটি শিশুর শিখতে চাওয়ার প্রবণতা, চারিত্রিক গঠন, বিভিন্ন ধরনের মৌলিক শিক্ষা ইত্যাদি সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেখানো হয়। মুলত প্রাথমিক শিক্ষাই ভবিষ্যতে একটি শিশুর সারা জীবনের উন্নয়নের চাবিকাঠি হয়ে উঠে।
একটি শিশু সর্ব প্রথম লিখতে ও পড়তে শিখে প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে। শিশুর জীবনের মৌলিক শিক্ষার সুচনা হয় প্রাথমিক শিক্ষার হাত ধরে। প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনেই একটি শিশু সামাজিকতা, নৈতিকতা, পরষ্পর যোগাযোগ, সহমর্মিতা এসব গুনের সাথে পরিচয় হয় ও চর্চা শিখে। সার্বিক দিক থেকে একটি শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সেটি নিয়েই আমরা বেশ কয়েকটি বিষয় আজ ব্যাখ্যা করব। যা থেকে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব আরো সুস্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারবো।
সাধারণত নৈতিকতা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনাগুলো একটি শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়েই পাবে। একজন শিক্ষক তার স্ব অভিজ্ঞতা ও শিখানোর মাধ্যমেই একজন শিশুর সারা জীবনের নৈতিকতার ভিত্তি গড়ে দিতে পারেন শিশুটির প্রাথমিক শিক্ষা জীবনেই।
সামাজিকতা শিখার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের থেকে বড় কোন কিছুই হতে পারে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসার পূর্বে একটি শিশু শুধু মাত্র তার মা-বাবা ভাই-বোন আত্নীয় স্বজনের সাথেই মিশেছে। কিন্তু যখন সে বিদ্যালয়ে আসে, সে নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হয় , খেলে, অনেকখানি সময় একসঙ্গে থাকে, এতে করে সামাজিকতার মহান যে পাঠটি আছে সেটি সে প্রাথমিক শিক্ষাতেই পেয়ে যাচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়েই একটি শিশু প্রথম বারের মতো পড়তে শিখে। আর এই পড়ার মাধ্যমেই সবার সাথে যোগাযোগের যে বিষয়টি আছে সেটা আয়ত্ত করতে সুবিধা হয়। একজন শিক্ষক তাদের দক্ষতা ও বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশের মাধ্যমে প্রতিটি শিশুকেই আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে।
একটি শিশুর সামাজিক, মানসিক, দৈহিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত সকল বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করবে প্রাথমিক শিক্ষা। প যেহেতু একটি শিশুর শিক্ষা জীবনের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে প্রাথমিক শিক্ষা, তাই এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। তাই প্রতিটি অভিবাবক এর উচিত নিজের শিশুটিকে সময় হওয়ার সাথে সাথেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া। এতে দেশ ও জাতি অনেকাংশেই এগিয়ে যাবে।