রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেনী পেশার গুণীজন, বিশিষ্টজনসহ প্রায় ২শতাধিক ব্যক্তিবর্গের অংশ গ্রহনে কমলনগর প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠান মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় কমলনগর প্রেসক্লাবের এ অভিষেক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট জনরা অংশ নেন।
কমলনগর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রতিনিধি ইউছুফ আলী মিঠু’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর – ৪ (রামগতি -কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামসুদ্দিন মোঃ রেজা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:আবু তাহের পাটোয়ারী, কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তহিদুল ইসলাম। লক্ষ্মীপুর স্টার কে এস হসপিটালের চেয়ারম্যান, সিআইপি মোঃ আবদুল করিম ও আইয়ুবনগর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট গুণীজন সিরাজুল ইসলাম বাবুল আইয়ুঁব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ ইউনুছ।
প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক মুছা কালামুল্লাহ’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, মাওলানা জায়েদ হোসাইন আল ফারুকী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী, উপজেলা দূনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নুর সেলিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.সফিক উদ্দিন, হাজিরহাট মাদ্রাসা ম্যনিজিং কমিটির সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুুবুল ইসলাম দোলন, নোয়াখালী জেলা বিএডিসি কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন শান্ত, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সানা উল্যাহ সানু ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দেশ রুপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন আমু প্রমূখ।
এ সময় প্রধান অতিথি সাংবাদিকরা সরকারের কাজের সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড গুলো আরো ভালো ভাবে তুলে ধরার আহবান করেন।
কমলনগর-রামগতির নদী ভাঙ্গন রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা স্মারণ করে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানটি কমলনগরের বিভিন্ন মতপার্থক্যের লোকের মিলনমেলার পরিণত হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ দেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, প্রেসক্লাব আছে বলেই সাংবাদিকরা এখন কিছুটা হলেও নিরাপদে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। তবে বর্তমান সময়ে প্রেস ক্লাবের নামের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। যারা সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে । এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনসহ স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে যারা সমাজ ও দেশের কল্যাণে ভালো সাংবাদিকতা করছে তাদেরকে উৎসাহ দিতে হবে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন সবাই।