“তুমি আমি কাছাকাছি, আছি বলেই/ এ জীবন হয়েছে মধুময়/ যদি তুমি দূরে কভু যাও চলে/ শুধু মরণ হবে আর কিছু নয়/ তোমায় ছেড়ে বহুদুরে যাবো কোথায়”, ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া কণ্ঠশিল্পী শহিদ ও শুভমিতার এমন কথার গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
অনুরুপ আইচের লেখা গানটির কথা ও গায়কী ছাড়াও প্রশংসিত হয়েছিল “একজীবনে এত প্রেম” গানচিত্রের গল্প ও নির্মাণ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসেন গানচিত্রটির মডেলকন্যা শায়না আমিন।
তার রুপের স্নিগ্ধতা আলোড়ন তুলেছিল অসংখ্য তরুণের বুকে। তবে এক যুগেরও বেশি সময় পর ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন শায়না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই তার তখনকার এবং এখনকার ছবি কোলাজ করে শেয়ার করছেন সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। একযুগ আগের শায়নার স্নিগ্ধতার সঙ্গে এখনকার শায়নার কোনো পার্থক্যই যেন নেই; বরং তাকে দেখলেই যে কারোরই বেড়ে যাবে মুগ্ধতা।
২০০৬ সালে “ক্রস কানেকশন” নামের একটি নাটক দিয়ে ছোট পর্দায় অভিষেক ঘটে শায়নার। এরপর উপহার দিয়েছেন আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নাটকে। “মেহেরজান”, “পিতা”সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে থিতু হন তিনি। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা আরশিয়া’র জন্ম হয়। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর লন্ডনের একটি হাসপাতালে ছেলে নুমাইর আমিন রানা’র জন্ম হয়।
বর্তমানে স্বামী মাসুদ রানা, মেয়ে আরশিয়া ও ছেলে নুমাইরকে নিয়ে লন্ডনে থাকেন শায়না। মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন এই অভিনেত্রী। গত বছরের আগস্টে সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতো বছর পর কেন হঠাৎ আলোচনায় শায়না? এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এই আলোচনার মধ্যেই সম্প্রতি একটি কফিশপে তোলা নিজের দুইটি ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করেন শায়না। আর সেটিই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। অনেকেই হানিয়া আমিরের সঙ্গে শায়না আমিনের তুলনা শুরু করেন। তার আগের ছবি ভিডিওর সঙ্গে বর্তমানের লুক জুড়ে দিয়ে অনেকেই তৈরি করছেন কন্টেন্ট।
পাশাপাশি অনেক ভক্তই শায়নার প্রতি ফের অভিনয়ে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছেন। তবে, গতবছর যখন শেষবার দেশে ফিরেছিলেন, তখন অভিনয়ে ফেরার আর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন শায়না। যদিও অভিনয়কে এখনো মিস করেন বলেও জানান তিনি।