আগের অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে আজও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
আগের অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে আজও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে ‘অবৈধভাবে নিয়োগ নেওয়া’ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নেয়ামুল হক ও উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগ এবং আগের ‘বৈধ’ অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদর উদ্দিনকে পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আজও বিক্ষোভ করছেন ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন না এবং ক্লাসেও ফিরবেন না তারা।

শিক্ষার্থীরা বেলা ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের পাশে অবস্থান নেন। এরফলে ধানমন্ডির দিকে সাত মসজিদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পাশেই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে নিউ মার্কেট রোড, মিরপুর রোড ও এলিফ্যান্ট রোডেও যান চলাচল বন্ধ আছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা। আশপাশের সড়কগুলোতেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে এই দাবিতে গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে অবস্থান করে। সন্ধ্যায় ছাত্রদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিন জরুরি সভায় বসে কলেজের পরিচালনা পর্ষদ। পরে বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর কাজি নেয়ামুল হক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ছয় দফা সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করার কারণে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

২. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুমনের সাসডেন্ডের কারণ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে অতি দ্রুত তাকে কর্মে যোগদান করানো হবে।
৩. এর আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিটেইক বাবদ যেসব ফি নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে। স্পেশাল ক্লাস বা কোচিংয়ের জন্য কোনও ফি নেওয়া হবে না।

৪. আন্দোলনকারী কোনও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।

৫. পিকনিকের ব্যাপারে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৬. কোনও শিক্ষার্থীর অভিভাবককে হয়রানি বা অপমান করা হবে না।

নোটিশে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, যেহেতু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই তারা চলমান আন্দোলন বন্ধ করে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।

তবে গভর্নিং বডির এসব সিদ্ধান্ত মানেনি শিক্ষার্থীরা। আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। আজ কলেজ খোলার কথা থাকলেও আন্দোলনের কারণে কোনও ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কলেজে গিয়ে শিক্ষকদেরও তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা পরীক্ষায় অংশ নেবো, ক্লাসেও থাকবো না।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আগের অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে আজও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আগের অধ্যক্ষের পুনর্বহালের দাবিতে আজও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে ‘অবৈধভাবে নিয়োগ নেওয়া’ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নেয়ামুল হক ও উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমানের পদত্যাগ এবং আগের ‘বৈধ’ অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদর উদ্দিনকে পদে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আজও বিক্ষোভ করছেন ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নেবেন না এবং ক্লাসেও ফিরবেন না তারা।

শিক্ষার্থীরা বেলা ১২টার দিকে কলেজের মূল ফটকের পাশে অবস্থান নেন। এরফলে ধানমন্ডির দিকে সাত মসজিদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পাশেই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে নিউ মার্কেট রোড, মিরপুর রোড ও এলিফ্যান্ট রোডেও যান চলাচল বন্ধ আছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রী ও পথচারীরা। আশপাশের সড়কগুলোতেও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে এই দাবিতে গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে অবস্থান করে। সন্ধ্যায় ছাত্রদের সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা সিটি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিন জরুরি সভায় বসে কলেজের পরিচালনা পর্ষদ। পরে বর্তমান অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর কাজি নেয়ামুল হক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ছয় দফা সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১. শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করার কারণে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।

২. কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সুমনের সাসডেন্ডের কারণ তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্তে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে অতি দ্রুত তাকে কর্মে যোগদান করানো হবে।
৩. এর আগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রিটেইক বাবদ যেসব ফি নেওয়া হয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে। স্পেশাল ক্লাস বা কোচিংয়ের জন্য কোনও ফি নেওয়া হবে না।

৪. আন্দোলনকারী কোনও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।

৫. পিকনিকের ব্যাপারে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

৬. কোনও শিক্ষার্থীর অভিভাবককে হয়রানি বা অপমান করা হবে না।

নোটিশে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, যেহেতু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই তারা চলমান আন্দোলন বন্ধ করে কলেজের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে।

তবে গভর্নিং বডির এসব সিদ্ধান্ত মানেনি শিক্ষার্থীরা। আবারও বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। আজ কলেজ খোলার কথা থাকলেও আন্দোলনের কারণে কোনও ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। কলেজে গিয়ে শিক্ষকদেরও তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা পরীক্ষায় অংশ নেবো, ক্লাসেও থাকবো না।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।