বর্তমানে আমাদের দেশে চুল পড়া একটি খুব সাধারণ সমস্যা। বায়ু ও পানি দূষণ, আবহাওয়ার রুক্ষতা, হরমোনের প্রভাব, সঠিক পুষ্টি ও যত্নের অভাব—সব মিলিয়ে প্রতিদিনই অনেক মানুষ এ সমস্যায় ভুগছেন। অনেকে দামি তেল, শ্যাম্পু কিংবা পার্লারের ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করলেও চুল পড়া কমছে না। এর মূল কারণ হতে পারে শরীরের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি।
চুলের স্বাস্থ্য আসলে নির্ভর করে ভেতর থেকে কতটা পুষ্টি পাচ্ছে তার উপর। আমরা যা খাই, তার প্রভাব সরাসরি চুলের গোড়ায় পৌঁছে। তাই বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি ভেতর থেকেও সঠিক খাবার গ্রহণ করা জরুরি।
চুলে পুষ্টি জোগাতে যা খাবেন
ডিম
বায়োটিন, প্রোটিন ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সে সমৃদ্ধ। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
মাছ
বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধ করে।
পালং শাক ও সবুজ শাকসবজি
আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন এ-সি এর উৎকৃষ্ট উৎস। আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার অন্যতম কারণ, তাই নিয়মিত শাক খাওয়া দরকার।
বাদাম ও বীজ
কাঠবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখীর বীজ বা ফ্ল্যাক্সসিডে আছে ভিটামিন ই, জিঙ্ক ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটি চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে এবং গোড়া মজবুত করে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই ও পনিরে থাকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। এগুলো চুলের বৃদ্ধি ও টেক্সচার উন্নত করে।
ফল
আম, কমলা, পেয়ারা, স্ট্রবেরি বা লেবুর মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা চুল ভাঙা রোধ করে।
ডাল ও মসুর
প্রচুর প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ। বিশেষ করে নিরামিষভোজীদের জন্য এটি প্রোটিনের দারুণ উৎস।
গাজর ও মিষ্টি কুমড়া
এগুলোতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন চুলের ফলিকল সুস্থ রাখে এবং শুষ্কতা কমায়।
পানি
শুধু খাবার নয়, পর্যাপ্ত পানি পানও অত্যন্ত জরুরি। শরীরে পানির ঘাটতি হলে চুল শুষ্ক হয়ে সহজেই পড়ে যায়।
জেআই/এজেড