ছয় বছর পর বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মঙ্গলবার (আগামীকাল)। এ নির্বাচনে মোট আটটি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে এসব কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রকে। সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, এ কেন্দ্রের পাশেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চানখারপুল থাকায় যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ কেন্দ্রে ভোট দেবেন জগন্নাথ হলসহ ছেলেদের তিনটি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিভিল পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
কেন্দ্রভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র: রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক। অধীনে থাকবেন দুইজন পোলিং অফিসার (একজন শিক্ষক ও একজন কর্মকর্তা)।
জগন্নাথ হল: রিটার্নিং কর্মকর্তা সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্টু বড়ুয়া ও আবাসিক শিক্ষক মি. উচিংলয়েন। ৭ টেবিলে দায়িত্বে থাকবেন ১৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারী।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল: রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী ও আবাসিক শিক্ষক মো. রাফিউল ইসলাম রাঙ্গা। ৬ টেবিলে দায়িত্বে থাকবেন ১২ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারী।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক জাওয়াদ ইবনে ফরিদ। ২ টেবিলে দায়িত্বে থাকবেন ৪ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা ও তিনজন কর্মচারী।
উল্লেখ্য, ডাকসু ও হল সংসদে ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। আর ১৮টি হল সংসদে ২৩৪টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ১,০৩৫ জন প্রার্থী। ফলে প্রতিটি ভোটারকে একসঙ্গে মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে।