দেশের ভেতরে ভ্রমণপিপাসু মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ছুটির দিনে পাহাড়, সমুদ্র, নদী ও অরণ্যময় এলাকাগুলোতে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশীয় পর্যটন খাতের বিকাশ লক্ষ্যনীয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলো
পর্যটন কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির পাহাড়, সাজেক উপত্যকা, জাফলং ও খৈয়াছড়া ঝর্ণা এখন তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। পর্যটকরা জানান, প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটালে মন সতেজ হয়, চাপ কমে এবং কর্মস্পৃহা ফিরে আসে।

সেন্টমার্টিন সমুদ্র তীর
ভ্রমণ খাতে অর্থনৈতিক প্রভাব
ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসা, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও হস্তশিল্পের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ি ও সৈকত এলাকায় স্থানীয়দের আয় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পর্যটকরা জানাচ্ছেন, তারা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, স্থানীয় সংস্কৃতি ও খাবারের স্বাদও উপভোগ করতে চান।

বাংলাদেশি সাম্পান
চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যটন খাতকে আরও উন্নত করতে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা ও মানসম্পন্ন সেবা অপরিহার্য। এছাড়া, স্থানীয় মানুষদেরও পর্যটন সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি, যাতে প্রকৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষিত থাকে।
সরকার ও পর্যটন নীতিমালা
পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের ভেতরে এবং সীমান্তবর্তী পর্যটন স্পটগুলোর উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। নতুন হোটেল, রিসোর্ট এবং পর্যটক সহায়ক সুবিধা চালু করা হবে। এছাড়া, নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে