কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা ও মানবধিকার কর্মী আফসানা আক্তারকে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আফসানা আক্তার কুমিল্লা জেলার বি-পাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দেউশ গ্রামের তরুণী। মো. মিজান সরকার ও মিসেস ফাহমিদা আক্তার দম্পতির সন্তান আফসানা আক্তার।
গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের একদল দুর্বৃত্ত। প্রায় ৩ দিন তাকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা হয় ৭ লাখ টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টা ১৫ মিনিটে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন লোক তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রায় ৩দিন আটকে রাখার পর ২৮ ডিসেম্বর পরিবারের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর পরিবার ও এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারীর অধিকার রক্ষা, বাল্যবিবাহ রোধ, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবস্থান, যৌতুক বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ, ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়তা এবং আলোচিত মুনিয়া হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার থাকার কারণে আফসানাকে টার্গেট করে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকার নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মুক্তি পাওয়ার পর আফসানা আক্তার জানান, তাকে ধরে গাড়িতে উঠানোর পর তার হাত-পা ও চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়। এ সময় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
আফসানা আক্তারের বাবা ও মা অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আমার মেয়ে ছাত্রলীগ করার কারণে তাকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।