বিশ্ব এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি মানুষের জীবন ও পরিবেশে গভীর প্রভাব ফেলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, AI প্রযুক্তি শুধু দৈনন্দিন কাজগুলোকে সহজ করছে না, বরং শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি ও পরিবহন খাতেও বিপ্লব ঘটাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষিতে AI-চালিত ড্রোনগুলো ফসলের স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কাজগুলোকে আরও নিখুঁত ও দ্রুত করছে।
এদিকে, নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যাটারি প্রযুক্তিতে সাম্প্রতিক উন্নতি এবং সৌর প্যানেলের দক্ষতার বৃদ্ধি বিশ্বকে কার্বন নিরপেক্ষ লক্ষ্য অর্জনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দুই খাতের সম্মিলিত ব্যবহার অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে তারা সতর্ক করছেন যে, AI-এর ব্যবহার নিয়ে নৈতিক ও সামাজিক দিকগুলোও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির বিকাশকে নিরাপদ ও দায়িত্বশীল রাখতে গ্লোবাল নিয়মনীতি প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তিগুলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ, দক্ষ ও পরিবেশবান্ধব করবে।