প্রচণ্ড গরমে পথচারীদের গলা শুকিয়ে আসে, কখনো কখনো পেয়ে বসে তীব্র পিপাসা। এমন সময়ে কাউকে পানি পান করানো শুধু মানবিকতার প্রকাশই নয়, বরং ইসলাম অনুযায়ী এটি বিশাল সওয়াবের কাজ। হাদিসে একে উত্তম সদকা বলা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন— “যে ব্যক্তি পানির কূপ খনন করল, আর সে কূপ থেকে মানুষ কিংবা পশু-পাখি পানি পান করল—এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন সওয়াব দেবেন।”
(সহিহ্ ইবনে খুজাইমা, হাদিস: ১২৯২)
অন্য হাদিসে এসেছে— “যে মুমিন পিপাসার্ত কোনো মুমিনকে একঢোক পানি পান করাবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে মোহর করা পানি থেকে পান করাবেন।”
(জামে তিরমিজি, হাদিস: ২৪৪৯)
আমাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে, মৃত মা-বাবার জন্য কল্যাণকর কিছু করা। নবীজি ﷺ এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সা’দ ইবনে উবাদা (রা.) রাসুল ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করলেন— “হে আল্লাহর রাসুল, আমার মা ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি তাঁর পক্ষ থেকে সদকা করতে পারি?” নবীজি ﷺ বললেন—“অবশ্যই পারো।”
তিনি আবার জানতে চাইলেন—“কোন সদকা করা উত্তম হবে?” রাসুল ﷺ বললেন—“পানি পান করানো।”
(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৮৪৫)
এরপর সা’দ (রা.) একটি কূপ খনন করে ঘোষণা দিলেন— “এটি আমার মায়ের নামে ওয়াক্ফ করা হলো।”
এক হাদিসে এসেছে—এক ব্যক্তি তৃষ্ণার্ত একটি কুকুরকে পানি পান করায়। এ কাজ আল্লাহ এতই পছন্দ করলেন যে, তাঁর সেই গুনাহ মাফ করে দিলেন। এ কথা শুনে সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন— “পশুকে অনুগ্রহ করলেও কি সওয়াব পাওয়া যায়?” নবীজি ﷺ বললেন—“প্রতিটি প্রাণীর প্রতি দয়া করলে তাতে সওয়াব রয়েছে।”
(সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ২৩৬৩)