দুনিয়ার ধন-সম্পদ ও ভোগ-বিলাসে ডুবে গিয়ে মানুষ আল্লাহ, পরকাল ও চিরস্থায়ী জান্নাতের সুখের কথা ভুলে যাচ্ছে। দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে অনেকে শুধুই দুনিয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। ইসলামী পরিভাষায় এদেরকে বলা হয় দুনিয়াদার।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ার মোহ ও দুনিয়াদারির বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন— “অর্থের গোলাম ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক সম্পদের গোলাম, ধ্বংস হোক পোশাকের গোলাম…” (সহিহ বুখারি)।
হাদিসে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের দিন মানুষকে অসহায় অবস্থায় আল্লাহর সামনে দাঁড় করানো হবে। তখন আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞেস করবেন— “আমি তো তোমাকে স্বাস্থ্য, সুখ-সুবিধা, ধন-সম্পদ ও নানান নিয়ামত দিয়েছিলাম। তুমি কী আমল করে এনেছ?”
সে উত্তর দেবে— “আমি সব সঞ্চয় করেছি, বাড়িয়ে রেখেছি, আরও বেশি সম্পদ রেখে এসেছি। আমাকে ফিরতে দিন, সবকিছুই আপনার কাছে নিয়ে আসব।”
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা বলবেন, “আগে কী নিয়ে এসেছ তা দেখাও।” যখন দেখা যাবে সে কোনো নেক আমল আগে পাঠায়নি, তখন তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪২৭)
ইসলামি আলেমরা বলেন, এ হাদিসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে দুনিয়ার প্রতি আসক্তি মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। তাই দুনিয়াকে নয়, বরং আখেরাতকে প্রাধান্য দেওয়াই মুমিনের কাজ।