১. অমুসলিম আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা
রাসূল ﷺ বললেন:
«صِلِي أُمَّكِ» — “তুমি তোমার মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো।”
(বুখারি, মুসলিম)
২. শত্রুভাবাপন্ন হলেও দোয়া করা
তিনি দাওস গোত্রের বিরুদ্ধে বদদোয়া না করে দোয়া করলেন:
«اللَّهُمَّ اهْدِ دَوْسًا» — “হে আল্লাহ! দাওস গোত্রকে হেদায়েত দিন।”
(বুখারি)
৩. অমুসলিমদের উপহার দেওয়া
হজরত ওমর (রা.) তার অমুসলিম ভাইকে উপহার পাঠান, নবী ﷺ অনুমোদন দেন।
(বুখারি)
৪. অমুসলিমদের উপহার গ্রহণ
এক ইহুদি নারী নবী ﷺ-কে ভেড়া উপহার দেন (যা বিষমাখা ছিল), তবু নবী ﷺ ক্ষমা করেন।
(বুখারি)
৫. অমুসলিমদের অধিকার রক্ষা
রাসূল ﷺ বলেন:
«أنا خَصْمُه يومَ القيامة»
“যে অমুসলিমের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে, কিয়ামতের দিন আমি তার প্রতিপক্ষ হব।”
(আবু দাউদ)
৬. অমুসলিম হত্যা বড় গুনাহ
রাসূল ﷺ বলেন:
«مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ»
“যে কোনো অমুসলিমকে হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।”
(বুখারি)
৭. অসুস্থ অমুসলিমকে দেখতে যাওয়া
এক ইহুদি বালক অসুস্থ হলে নবী ﷺ তার খোঁজ নেন, পরে সে ইসলাম গ্রহণ করে।
(বুখারি)
৮. অমুসলিমদের সঙ্গে ব্যবসা
রাসূল ﷺ এক ইহুদির কাছ থেকে খাবার ধার নিয়েছিলেন এবং জামানত রেখেছিলেন তার বর্ম।
(বুখারি, মুসলিম)
৯. মৃত অমুসলিমের প্রতি সম্মান
এক ইহুদির জানাজা অতিক্রম করলে নবী ﷺ দাঁড়িয়ে যান।
(নাসায়ী)
কোরআনের দিকনির্দেশনা
আল্লাহ বলেন—
لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ
(সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত ৮)
অর্থ: “যারা তোমাদের সঙ্গে দ্বীনের ব্যাপারে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেয়নি, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা ও তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।”