বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মধ্যে অন্যতম মারাত্মক রোগ হিসেবে পরিচিত ব্রেস্ট ক্যান্সার। আধুনিক জীবনযাত্রা, পরিবেশের পরিবর্তন এবং জেনেটিক প্রভাবের কারণে দিন দিন এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। সচেতনতার অভাবে অনেক নারী সময়মতো সুরক্ষা পেতে বা রুগ্ণ হয়ে পড়ছেন। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগের মূল কারণ জেনে রাখলে আপনি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে পারবেন সহজেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার পেছনে কিছু মূল কারণ বা ঝুঁকি ফ্যাক্টর কাজ করে, যার মধ্যে প্রধানগুলো হলো:
জেনেটিক কারণ ও পারিবারিক ইতিহাস:
যদি পরিবারের কারো ব্রেস্ট বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার থাকেন, তাহলে ঝুঁকি অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। BRCA1 ও BRCA2 জেনের মিউটেশন এই রোগের মূল কারণ হিসেবে দেখা গেছে।
হরমোনের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব:
দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে বেশি এস্ট্রোজেন বা অন্যান্য হরমোনের উপস্থিতি ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে, হরমোন থেরাপি বা অকাল মানসিক পরিবর্তন এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
বাড়তে থাকা ওজন ও জীবনশৈলী:
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া এবং শারীরিক অকেজোতা ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। স্থূলতা থাকলে শরীরের হরমোনের লেভেল বেড়ে যায়, যা ক্যান্সারকে ডেকে আনে।
বয়স ও গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা:
বাজারে অনেক ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০ বছরের পরে মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি হয়। অন্যদিকে, কম গর্ভধারণ বা বেশি সময় গর্ভধারণ করেননি এমন নারীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পরিবেশের দূষণ:
রাসায়নিক বা দূষিত বাতাস শরীরে প্রবেশ করে কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে। রাসায়নিক দ্রব্য ও পরিবেশ দূষণ এই রোগের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়।
সচেতনতা ও নিয়মিত পরীক্ষা জরুরি:
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত স্ক্রিনিং, জীবনশৈলী পরিবর্তন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্রেস্ট ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
সুতরাং, নিজেদের সচেতন করে তুলুন, পারিবারিক ইতিহাস জানুন এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে করে সহজেই এই মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।