‘নীলনকশার নির্বাচন’ প্রস্তুতির অভিযোগ জামায়াত নেতার

স্টাফ রিপোর্টার এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
‘নীলনকশার নির্বাচন’ প্রস্তুতির অভিযোগ জামায়াত নেতার

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা প্রশাসনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অনুগতদের বসিয়ে ‘নীলনকশার নির্বাচন’ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রে জড়িত উপদেষ্টাদের নাম ও তাদের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের অডিও রেকর্ড জামায়াতের হাতে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সৈয়দ তাহের বলেন, “প্রশাসনের ভেতরে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োগ দিন। কোনো দলের অনুগতদের বসানো হলে তার পরিণতি শুভ হবে না।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “যদি সময়মতো সংশোধন না হয়, তাহলে কোন কোন উপদেষ্টা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, আমরা জনগণের সামনে তাদের নাম প্রকাশ করব। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তারা মিটিংয়ে কী বলেন, সব তথ্য আমাদের হাতে আছে। আমরা সময় দিচ্ছি—সংশোধন করুন, নইলে জনগণের আদালতে জবাব দিতে হবে।”

সম্প্রতি জনপ্রশাসনে এক সচিব নিয়োগের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, “কিছু উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে দলীয় বা অসৎ ব্যক্তিকে কোনো পদে দেওয়া হবে না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আমাদের সঙ্গে কথা বলার একদিন পরই এমন এক ব্যক্তিকে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার অতীত দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ এবং যিনি একটি নির্দিষ্ট দলের অনুগত।”

পুলিশ প্রশাসনেও একই রকম চাপ ও প্রভাবের অভিযোগ তুলে সৈয়দ তাহের বলেন, “আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও শুনেছি—একটি দলের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর প্রবল চাপ রয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো প্রস্তুতি নেই। প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ‘নীলনকশার নির্বাচন’ আয়োজনের চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো আরেকটি সাজানো নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। জনগণ এখন সচেতন, তারা আর প্রহসনের ভোট চায় না।”

এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। উপস্থিত ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, আবদুল হালিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

‘নীলনকশার নির্বাচন’ প্রস্তুতির অভিযোগ জামায়াত নেতার

‘নীলনকশার নির্বাচন’ প্রস্তুতির অভিযোগ জামায়াত নেতার

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা প্রশাসনে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অনুগতদের বসিয়ে ‘নীলনকশার নির্বাচন’ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

তিনি দাবি করেন, এই ষড়যন্ত্রে জড়িত উপদেষ্টাদের নাম ও তাদের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের অডিও রেকর্ড জামায়াতের হাতে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সৈয়দ তাহের বলেন, “প্রশাসনের ভেতরে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, নিরপেক্ষ সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়োগ দিন। কোনো দলের অনুগতদের বসানো হলে তার পরিণতি শুভ হবে না।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “যদি সময়মতো সংশোধন না হয়, তাহলে কোন কোন উপদেষ্টা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, আমরা জনগণের সামনে তাদের নাম প্রকাশ করব। তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। তারা মিটিংয়ে কী বলেন, সব তথ্য আমাদের হাতে আছে। আমরা সময় দিচ্ছি—সংশোধন করুন, নইলে জনগণের আদালতে জবাব দিতে হবে।”

সম্প্রতি জনপ্রশাসনে এক সচিব নিয়োগের বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, “কিছু উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে দলীয় বা অসৎ ব্যক্তিকে কোনো পদে দেওয়া হবে না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আমাদের সঙ্গে কথা বলার একদিন পরই এমন এক ব্যক্তিকে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যার অতীত দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ এবং যিনি একটি নির্দিষ্ট দলের অনুগত।”

পুলিশ প্রশাসনেও একই রকম চাপ ও প্রভাবের অভিযোগ তুলে সৈয়দ তাহের বলেন, “আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও শুনেছি—একটি দলের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর প্রবল চাপ রয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো প্রস্তুতি নেই। প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ‘নীলনকশার নির্বাচন’ আয়োজনের চেষ্টা চলছে।”

তিনি আরও বলেন, “২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো আরেকটি সাজানো নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। জনগণ এখন সচেতন, তারা আর প্রহসনের ভোট চায় না।”

এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। উপস্থিত ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, আবদুল হালিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত