প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
মঙ্গলবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশন শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. তাহের বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখি না। তবে নির্বাচন যেন গ্রহণযোগ্য হয়, সেই ব্যাপারে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন জরুরি। প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে নির্বাচন হলে তা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সংস্কারের মধ্য দিয়েই নির্বাচন হতে হবে।
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হওয়া উচিত। কারণ, একটি গণতান্ত্রিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনই সমস্যার সমাধান দিতে পারে।
ভারতে অবস্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছিলাম, পাশাপাশি চিকিৎসার জন্যও কিছু সময় ছিলাম। কিন্তু আমার নামে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এখন তো এআই দিয়ে ভিডিও বানিয়ে কিছু দেখানো যায়, কিন্তু মানুষ এসব বোঝে।
উল্লেখ্য, ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নিউইয়র্ক যান পাঁচ রাজনৈতিক নেতা—বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াত নেতা ডা. তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ড. তাসনিম জারা। এছাড়া জামায়াত নেতা মোহাম্মদ নকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দেন।