ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে ১৯ বছরের এক তরুণের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক পোশাক শ্রমিক নারী, যিনি ওই তরুণের মায়ের বয়সী। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাইচাল গ্রামের পোশাক শ্রমিক মো. সজীব হোসেনের বাড়িতে এই অনশন শুরু হয়।
অনশনরত ওই নারীর বয়স ৪৫ বছর। তিনি ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়ন সদরের বাসিন্দা এবং সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকায় অবস্থিত মাহমুদা গ্রুপের রাইজিং বিডি পোশাক কারখানায় কর্মরত। তার একমাত্র ছেলে মানিকগঞ্জের একটি কলেজে অধ্যয়নরত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ওই নারী শ্রমিক ও সজীব হোসেন একই পোশাক কারখানায় দীর্ঘ ৪ বছর ধরে চাকরি করছেন। কর্মস্থলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে প্রেমে রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যান এবং সম্পর্ক গভীর হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, বিয়ের আশ্বাসে সজীব হোসেন ওই নারী শ্রমিকের কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা নেন। পরে বিয়ের সময় এলে সজীব নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ ও টালবাহানা করতে থাকেন।
সবশেষে নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী সজীবের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। তবে খবর পেয়ে সজীব বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি বলেন, বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।
সজীবের পারিবারিক সূত্র জানায়, ওদের সম্পর্কের বিষয়ে আমরা আগে কিছু জানতাম না। সজীব যদি বিয়ে করতে চায়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সজীব এখন বাড়িতে নেই, তাই তাকে ছাড়া এই নারীকে একা রাখা সম্ভব নয়।
বিয়ের দাবিতে অনশনরত ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, চার বছর ধরে সজীব আমার সঙ্গে প্রেম করেছে। বিয়ের আশ্বাসে আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছে। এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এখানেই থাকব। প্রয়োজন হলে আইনের আশ্রয় নেব।
এ বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।