মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়

অতিথি লেখক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাংলাদেশে মেয়েদের একটি সাধারণ সৌন্দর্য সমস্যা হলো মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত লোম। এটি অনেক সময় আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং চেহারার সৌন্দর্যে প্রভাব ফেলে। হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা, বংশগত কারণ বা কিছু ওষুধের প্রভাবে মেয়েদের মুখে লোম গজাতে পারে। যদিও এটি শারীরিকভাবে ক্ষতিকর নয়, তবুও অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান। ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এই লোমের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

হলুদ ও দুধের প্যাক:

হলুদে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং লোমের গোড়া দুর্বল করে। এক চামচ হলুদের গুঁড়া ও দুই চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫–২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে মুখের লোম ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।

চিনি ও লেবুর স্ক্রাব:

এক চামচ চিনি, অর্ধেক লেবুর রস এবং সামান্য পানি মিশিয়ে হালকা হাতে মুখে ঘষুন। এই মিশ্রণটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং লোমের বৃদ্ধি কমায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

ডিমের মাস্ক:

ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলুন। এতে মুখের লোমসহ মৃত কোষও উঠে যায়। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি কম ব্যবহার করা উচিত।

বেসন ও গোলাপজল:

বেসন ও গোলাপজলের মিশ্রণ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শুধু লোমের বৃদ্ধি কমায় না, বরং ত্বককে উজ্জ্বল ও দাগহীন রাখে। প্রতিদিন সকালে মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া যায়।

লোম বৃদ্ধির কারণ:

মুখে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের অন্যতম কারণ হলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এর পেছনে দায়ী। তাই সমস্যা যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

চিকিৎসা ও আধুনিক সমাধান:

ঘরোয়া উপায়ে কাজ না করলে পার্লারে থ্রেডিং, ওয়াক্সিং বা লেজার ট্রিটমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। লেজার চিকিৎসা স্থায়ী সমাধান দিতে পারে, তবে এটি ব্যয়বহুল এবং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।

অনাকাঙ্ক্ষিত মুখের লোম দূর করা যেমন সৌন্দর্যের অংশ, তেমনি এটি আত্মবিশ্বাসের বিষয়ও। প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী বা ঘন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়

মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাংলাদেশে মেয়েদের একটি সাধারণ সৌন্দর্য সমস্যা হলো মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত লোম। এটি অনেক সময় আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয় এবং চেহারার সৌন্দর্যে প্রভাব ফেলে। হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা, বংশগত কারণ বা কিছু ওষুধের প্রভাবে মেয়েদের মুখে লোম গজাতে পারে। যদিও এটি শারীরিকভাবে ক্ষতিকর নয়, তবুও অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান। ঘরোয়া উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এই লোমের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

হলুদ ও দুধের প্যাক:

হলুদে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং লোমের গোড়া দুর্বল করে। এক চামচ হলুদের গুঁড়া ও দুই চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫–২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে মুখের লোম ধীরে ধীরে হালকা হয়ে যায়।

চিনি ও লেবুর স্ক্রাব:

এক চামচ চিনি, অর্ধেক লেবুর রস এবং সামান্য পানি মিশিয়ে হালকা হাতে মুখে ঘষুন। এই মিশ্রণটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং লোমের বৃদ্ধি কমায়। নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়।

ডিমের মাস্ক:

ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে টান দিয়ে তুলে ফেলুন। এতে মুখের লোমসহ মৃত কোষও উঠে যায়। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি কম ব্যবহার করা উচিত।

বেসন ও গোলাপজল:

বেসন ও গোলাপজলের মিশ্রণ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি শুধু লোমের বৃদ্ধি কমায় না, বরং ত্বককে উজ্জ্বল ও দাগহীন রাখে। প্রতিদিন সকালে মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেললে ভালো ফল পাওয়া যায়।

লোম বৃদ্ধির কারণ:

মুখে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের অন্যতম কারণ হলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। অনেক ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS) বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও এর পেছনে দায়ী। তাই সমস্যা যদি অতিরিক্ত হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

চিকিৎসা ও আধুনিক সমাধান:

ঘরোয়া উপায়ে কাজ না করলে পার্লারে থ্রেডিং, ওয়াক্সিং বা লেজার ট্রিটমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। লেজার চিকিৎসা স্থায়ী সমাধান দিতে পারে, তবে এটি ব্যয়বহুল এবং বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করা উচিত।

অনাকাঙ্ক্ষিত মুখের লোম দূর করা যেমন সৌন্দর্যের অংশ, তেমনি এটি আত্মবিশ্বাসের বিষয়ও। প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিলে এ সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী বা ঘন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত