জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যদি কেউ পরিবর্তনের কমিটমেন্ট দিতে পারে এবং কাজে প্রমাণ করতে পারে, তাহলে সময়ের প্রয়োজনে ও দেশের স্বার্থে ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্সের দিকে যেতে পারে এনসিপি। তবে যদি দেখা যায় এসব শুধু কথার ফুলঝুড়ি, তখন এনসিপি একক নির্বাচনের পথে যাবে। তিনি আবার জোর দিয়ে বলেছেন, ইলেক্টোরাল অ্যালায়েন্স হলেও এনসিপি শুধুমাত্র শাপলা প্রতীকে নির্বাচন করবে।
সারজিস জানান, নির্বাচন-সংবিধান বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে শাপলা প্রতীকের জন্য আইনি কোনো বাধা নেই, তাই এনসিপি বিশ্বাস করে যে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী আচরণ করবে না। ফলে এনসিপি শাপলা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি পিআর (প্রতিনিধি নির্বাচন) প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, উচ্চকক্ষে পিআর চাই, নিম্নকক্ষে চাই না, এবং এর কার্যকারিতা ও ফলপ্রসূতা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে।
সারজিস এছাড়াও উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট প্রসঙ্গে বলেন, এটি অর্থ নয় যে তারা দেশ থেকে পালিয়ে যাবে; বরং বোঝানো হয়েছে, নির্বাচন দিয়ে দায় শেষ হবে না, হাজার হাজার মানুষের জীবন ও লক্ষাধিক মানুষের রক্তের দায় আছে। তারা অভ্যুত্থানের সরকারের মতো দৃঢ় ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সমন্বয় সভায় শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়া সভাপতিত্ব করেন। সভায় এনসিপির জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতৃবৃন্দ ও জুলাইযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।