মা হতে চলেছেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার ১৪ বছরের এক কিশোরী। ঘটনাটি উপজেলার ৯নং মনোহরপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামে। বর্তমানে তিনি সাত মাসের অন্তসত্বা বলে জানা যায়।
অবৈধ গর্ভধারনের ঘটনায় সোন্দাহ গ্রামের মৃত আজাহার মোল্যার ছেলে তাইজাল বিশ্বাস(৬০) কে আসামী করে শৈলকুপা থানায় সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ভূক্তভোগী কিশোরীর পিতা আক্তার বিশ্বাস বিষয়টি গোপন রেখে বিচারের জন্য গ্রামের বিভিন্নজনের নিকট সাহায্য চাইলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তিনি আইনের আশ্রয় নেন বলে কিশরীর পিতা জানান। মামলার পর অভিযুক্ত তাইজাল বিশ্বাস পলাতক রয়েছে। তার পরিবারের দাবী তিনি নির্দোষ। অন্তসত্বা কিশোরী হিতামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কিশোরীর পিতা আক্তার বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার কন্যাকে একই গ্রামের তাইজাল বিশ্বাস বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছিল। গত বছরের আগষ্টের ৫ তারিখে তিনি ও তার স্ত্রী বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে তাইজলা তার মেয়েকে বাড়িতে একা পেয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । ভয়ে মেয়েটি বাড়িতে না বললেও কিছুদিন পরে তার মা গর্ভধারনের বিষয়টি বুঝতে পান। পরে জানতে পারেন তাইজাল মোল্যা জোরপূর্বক তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে মেয়েটি ৭ মাসের অন্তসত্বা। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় তাইজালকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত তাইজাল মোল্যার স্ত্রী আলেয়া খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই তিনি এ ঘটনাটি শুনে আসছেন। তবে তার স্বামী এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন না বলে তার ধারনা।
হিতামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, অন্তসত্বা শিশুটি গত বছর তার স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে আর স্কুলে আসেনি।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সোন্দাহ গ্রামের একজন কিশোরীর অবৈধ গর্ভধারনের ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত একই গ্রামের তাইজাল মোল্যাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।