নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি

এইচ এম কাওসার মাদবর জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি
ছবি: প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামে পায়রা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতঘর, গাছপালাসহ বেড়িবাঁধ।পায়রা’র ভাঙন থেকে বাপ-দাদার শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

সরেজমিনে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথাবলে যানা যায়, স্রোত ও নদীর ঢেউয়ে ভাঙছে নদীর পাড়। গত দুই বছরে ওই এলাকার ৫শ’ থেকে ৬শ’ একর জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ২’শ পরিবার। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। সারা বছরই ভাঙছে নদী। তবে বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়বে তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগে যদি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা হয় তাহলে বাপ-দাদার বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে। আর মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই থাকবে না। তাই দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

চাওড়া ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম চৌকিদার বলেন, একসময় আমাদের জমাজমির কমতি ছিল না। পায়রার ভাঙনের কবলে এখন সর্বস্বান্ত হয়েছি।বাপ দাদার কবর আজ নদী গর্ভে। তাঁদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যে একটু দোয়া করবো, সেই চিহ্নটুকুও নদেতে বিলীন। নদীর ভাঙন দ্রুত রোধ করা না হলে আরো জমি ও বসতভিটা হারাতে হবে বহু পরিবারকে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপনির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুজন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া যেহেতু সম্পন্ন হয়েছে, তাই কাজ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি

নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি
ছবি: প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামে পায়রা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি, বসতঘর, গাছপালাসহ বেড়িবাঁধ।পায়রা’র ভাঙন থেকে বাপ-দাদার শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

সরেজমিনে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথাবলে যানা যায়, স্রোত ও নদীর ঢেউয়ে ভাঙছে নদীর পাড়। গত দুই বছরে ওই এলাকার ৫শ’ থেকে ৬শ’ একর জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ২’শ পরিবার। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। সারা বছরই ভাঙছে নদী। তবে বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের তীব্রতা আরও বাড়বে তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগে যদি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা হয় তাহলে বাপ-দাদার বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে। আর মাথা গোঁজার কোনো ঠাঁই থাকবে না। তাই দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

চাওড়া ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম চৌকিদার বলেন, একসময় আমাদের জমাজমির কমতি ছিল না। পায়রার ভাঙনের কবলে এখন সর্বস্বান্ত হয়েছি।বাপ দাদার কবর আজ নদী গর্ভে। তাঁদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে যে একটু দোয়া করবো, সেই চিহ্নটুকুও নদেতে বিলীন। নদীর ভাঙন দ্রুত রোধ করা না হলে আরো জমি ও বসতভিটা হারাতে হবে বহু পরিবারকে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপনির্বাহী প্রকৌশলী মো. সুজন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া যেহেতু সম্পন্ন হয়েছে, তাই কাজ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত