২৫ মার্চ দিনের আলো নিভে গেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে “স্মৃতি-৭১ জাগ্রত সদরপুর” এ মোমবাতি প্রজ্জ্বল ও আলোচনার মাধ্যমে গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। ইমারত হোসেন বাচ্চু’র সঞ্চালনা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান মাহমুদ রাসেল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ওমর ফয়সল, থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত গোলদার, উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী আবদুল মোমেন, বেগম রোকেয়া পদক জয়ী রহিমা খাতুন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সমীর বৈদ্য, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী শফিকুর রহমান বলেন, “২৫ মার্চ বাঙ্গালী জাতির একটি ভয়াল দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিলো। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন “সার্চ লাইট” এর মাধ্যমে বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করেছিলো। রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশে নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে হাজার হাজার লোককে হত্যা করা হয়। বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন – সাধকে চিরতরে ধূলিসাৎ করার লক্ষ্যে এই পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছিলো। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত পথে দেশের আপামর জনতার সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ৯ মাসের যুদ্ধের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীনও সার্বভৌমত্ব ভূখণ্ড পেয়েছি। তাই ২৫ মার্চের সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”