মারি ক্যুরি প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মারি ক্যুরি ১৮৬৭ সালের ৭ই নভেম্বর পোল্যান্ডের ওয়ারশতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি বিজ্ঞানের দুইটি ভিন্ন শাখায় দুইবার নোবেল পুরস্কার পান। তিনি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রথম মহিলা অধ্যাপক ছিলেন এবং তিনিই ছিলেন প্রথম মহিলা যার অসামান্য মেধার কারণে ১৯৯৫ সালে প্যান্থিয়নে সমাহিত করা হয়।
মারি ক্যুরি ওয়ারশর গোপন ভাসমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন এবং ওয়ার্সাতেই তার ব্যবহারিক বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। ১৮৯১ সালে ২৪ বছর বয়সে সে তার বড় বোন ব্রোনিস্লাভাকে অনুসরণ করে প্যারিসে পড়তে যান। সেখানেই সে তার পরবর্তি বৈজ্ঞানিক কাজ পরিচালিত করেছিলেন। ১৯০৩ সালে মারি ক্যুরি তার স্বামী পিয়েরে ক্যুরি এবং পদার্থবিদ হেনরি বেকেরেলের সাথে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি এককভাবে ১৯১১ সালে রসায়নেও নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় হাসপাতালগুলোতে এক্সরের সরঞ্জামের ঘাটতি ছিল। যুদ্ধাহত রোগিদের এক্সরে সঠিকভাবে করানোর অর্থ যোগাতে তিনি তহবিল সংগ্রহে নামেন। এসময় অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি ২২০ টি রেডিওলোজি স্টেশন গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ২০০ টি বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী ছিল, এবং ২০ টি ছিল ভ্রাম্যমাণ। এগুলো তিনি বিভিন্ন ধনী মহিলাদের কাছ থেকে গাড়ি ধার নিয়ে তৈরী করেছিলেন।
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারসতে নিজের গড়া রেডিয়াম ইনস্টিটিউটসহ তিনি অন্য একটি রেডিয়াম ইনস্টিটিউটে কাজ করতেন। রেডিয়াম বিষয় নিয়ে রেডিয়াম ইনস্টিটিউটে গবেষণা করে তিনি তার মেয়ে ইরিন, মেয়ের স্বামী ফ্রেডরিক জুলিয়েটের সাথে যৌথভাবে নোবেল পান।।ফ্রান্সের একজন নাগরিক হিসেবে থাকা অবস্থায়ও মারি ক্যুরি কখনোই তার পোলিশ পরিচয় ভুলে যাননি। তিনি নিজে প্রথম যে মৌলটি আবিষ্কার করেন, তার জন্মভূমির নামানুসারে ঐ মৌলের নাম দেন পোলনিয়াম।