রোজায় হৃদরোগীর রক্তচাপ কমে গেলে যা করবেন

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
রোজায় হৃদরোগীর রক্তচাপ কমে গেলে যা করবেন
ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোগীদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যায়াম, জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হয়। হঠাৎ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিয়মমাফিক চললে এসব জটিলতা এড়ানো সম্ভব। যেসব রোগীর রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় রোজা রাখার জন্য কোনো রকম জটিলতা হয় । যাদের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে নেই বিশেষ করে হার্ট ফেইলিউরের জন্য শ্বাসকষ্ট হয় অথবা গত তিন মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলো দিনে একবার, দু’বার বা তিনবার খেতে হয়। রোজার সময় চেষ্টা করতে হবে যেসব ওষুধ দিনে একবার বা দু’বার খাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে দু’বার খাওয়া ওষুধগুলো ইফতার এবং সেহরির সময় খাবেন। দিনে একবার খাওয়া ওষুধগুলো রাতের যে কোনো সময় খেতে পারেন।

ডাইউরেটিক বা শরীরের পানি কমার ওষুধ ইফতারের সময় খাবেন। এ ধরনের ওষুধের পরিমাণ কমাতেও হতে পারে। চর্বি জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ দেয়া খাবারগুলো পরিহার করবেন। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খাবেন। রাতের বেলা প্রয়োজন মতো পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন।

শারীরিক ব্যায়াম দিনের বেলায় না করে রাতে করার চেষ্টা করুন। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না। এ মাসের জন্য ত্রিশ মিনিট হাঁটাই ভালো ব্যায়াম। রোজার সময়ে দিনের বেলা রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে এবং শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে অবশ্যই পানি বা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আপনার ওষুধ বা ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হতে পারে। রোজার সময় কোনোরকম জটিলতা দেখা দিলে, যেমন-শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হলে বা রক্তচাপ কমে গেলে, বিলম্ব না করে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।মনে রাখবেন-সময়মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাবে। যেসব রোগীর পেসমেকার বা ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা আছে অথবা বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করা আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। তবে বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করার পর প্রথম তিন মাস রোজা রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।

এ ছাড়া রোজায় হৃদরোগীর রক্তচাপ কমে যা খাবেন-

ভেজে কুমড়ার বীজ খেতে পারেন: অনেকেই কুমড়া খেলেও এর বীজ ফেলে দেন। কিন্তু বীজেও ভালো পুষ্টি রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিরা কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। কুমড়া বীজ ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পাকা টমেটো: টমেটোতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনাইলয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন। এ উপাদান হৃদপিণ্ডের জন্য খুব ভালো। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখুন।

বিট রস: বিটের মতো উপকারী সবজি খুব কমই আছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন বিট খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। ধমনী শিথিল রেখে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে বিটের রস। তাই হঠাৎ প্রেশার বেড়ে ২৫০ মিলি. বিটের রস পান করুন।

টক দই ও তেঁতুলের রস: হঠাৎ প্রেশার বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে টক দই কিংবা তেঁতুলের রসও খেতে পারেন। এতে করে কিছুক্ষণের ব্যবধানে আপনি শান্তি অনুভব করবেন।

কলা ও কমলাঃ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা খেয়ে হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। খেতে পারেন ভিটামিন সি তে ভরা কমলাও। এই দুই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই উপকারী। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ একটি করে কলা ও কমলা খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে তুলতে পারেন।
রোজার সময়ে যেকোনো রোগীকেই সাবধানে থাকতে হয়। তাদের ওষুধ,ডেইলী রুটিন,ডায়েট,পুষ্টিকর খাবার,এক্সারসাইজ ইত্যাদি যেনো ঠিক ঠাক থাকে তার প্রতি নজর দিতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রোজায় হৃদরোগীর রক্তচাপ কমে গেলে যা করবেন

রোজায় হৃদরোগীর রক্তচাপ কমে গেলে যা করবেন
ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে রোগীদের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যায়াম, জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হয়। হঠাৎ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। নিয়মমাফিক চললে এসব জটিলতা এড়ানো সম্ভব। যেসব রোগীর রক্তচাপ এবং হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে আছে তাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় রোজা রাখার জন্য কোনো রকম জটিলতা হয় । যাদের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে নেই বিশেষ করে হার্ট ফেইলিউরের জন্য শ্বাসকষ্ট হয় অথবা গত তিন মাসের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ওষুধগুলো দিনে একবার, দু’বার বা তিনবার খেতে হয়। রোজার সময় চেষ্টা করতে হবে যেসব ওষুধ দিনে একবার বা দু’বার খাওয়া যায় সেগুলো দিয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে দু’বার খাওয়া ওষুধগুলো ইফতার এবং সেহরির সময় খাবেন। দিনে একবার খাওয়া ওষুধগুলো রাতের যে কোনো সময় খেতে পারেন।

ডাইউরেটিক বা শরীরের পানি কমার ওষুধ ইফতারের সময় খাবেন। এ ধরনের ওষুধের পরিমাণ কমাতেও হতে পারে। চর্বি জাতীয় খাবার এবং অতিরিক্ত লবণ দেয়া খাবারগুলো পরিহার করবেন। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খাবেন। রাতের বেলা প্রয়োজন মতো পানি এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন।

শারীরিক ব্যায়াম দিনের বেলায় না করে রাতে করার চেষ্টা করুন। খাবার পরপরই ব্যায়াম করবেন না। এ মাসের জন্য ত্রিশ মিনিট হাঁটাই ভালো ব্যায়াম। রোজার সময়ে দিনের বেলা রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে এবং শরীরে লবণের পরিমাণ কমে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে অবশ্যই পানি বা তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আপনার ওষুধ বা ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হতে পারে। রোজার সময় কোনোরকম জটিলতা দেখা দিলে, যেমন-শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা বা অজ্ঞান হলে বা রক্তচাপ কমে গেলে, বিলম্ব না করে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন।মনে রাখবেন-সময়মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যাবে। যেসব রোগীর পেসমেকার বা ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা আছে অথবা বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করা আছে তারাও রোজা রাখতে পারবেন। তবে বাইপাস অপারেশন বা এনজিওপ্লাস্টি করার পর প্রথম তিন মাস রোজা রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ।

এ ছাড়া রোজায় হৃদরোগীর রক্তচাপ কমে যা খাবেন-

ভেজে কুমড়ার বীজ খেতে পারেন: অনেকেই কুমড়া খেলেও এর বীজ ফেলে দেন। কিন্তু বীজেও ভালো পুষ্টি রয়েছে। উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিরা কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। কুমড়া বীজ ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পাকা টমেটো: টমেটোতে রয়েছে পটাশিয়াম ও ক্যারোটিনাইলয়েড পিগমেন্ট লাইকোপিন। এ উপাদান হৃদপিণ্ডের জন্য খুব ভালো। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখুন।

বিট রস: বিটের মতো উপকারী সবজি খুব কমই আছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন বিট খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। ধমনী শিথিল রেখে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে বিটের রস। তাই হঠাৎ প্রেশার বেড়ে ২৫০ মিলি. বিটের রস পান করুন।

টক দই ও তেঁতুলের রস: হঠাৎ প্রেশার বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে টক দই কিংবা তেঁতুলের রসও খেতে পারেন। এতে করে কিছুক্ষণের ব্যবধানে আপনি শান্তি অনুভব করবেন।

কলা ও কমলাঃ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা খেয়ে হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। খেতে পারেন ভিটামিন সি তে ভরা কমলাও। এই দুই ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই উপকারী। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজ একটি করে কলা ও কমলা খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে তুলতে পারেন।
রোজার সময়ে যেকোনো রোগীকেই সাবধানে থাকতে হয়। তাদের ওষুধ,ডেইলী রুটিন,ডায়েট,পুষ্টিকর খাবার,এক্সারসাইজ ইত্যাদি যেনো ঠিক ঠাক থাকে তার প্রতি নজর দিতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত