দুজনের বাড়িই জেলার কলমাকান্দা উপজেলায়। তবে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক তাদের। এবার ঈদের ছুটিতে দুজনে বিয়ে করার কথা ছিল। বিয়ের জন্য প্রেমিক তার পরিবারকে রাজি করাতে প্রেমিকাসহ অভিভাবককে নিজ বাড়িতে ডেকেও আনেন। চলে দুই পরিবারের আলোচনা; কিন্তু তাতেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এ অবস্থায় শনিবার সকালে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রেমিক আরিফ পালিয়ে যান। এরপর প্রেমিকা কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যেহেতু ফেসবুকে পরিচয় তাই ভুক্তভোগী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করতে পারবেন।
প্রেমিকা (১৯) ঢাকায় বাসাবাড়িতে কাজ করেন আর প্রেমিক উপজেলার চৌরাস্তা এলাকার মৃত আইয়ুব আলী খানের ছেলে আরিফ খান (২১)। তিনি গাজীপুর এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিয়ের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার আশ্বাসে ওই নারীর অভিভাবকরা চলে যান। তবে মেয়েটি স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে থেকে যান প্রেমিকার বাড়িতে। এরপর তার ওপর চলে প্রেমিকের পরিবারের লোকজনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। অত্যাচারের একপর্যায়ে প্রেমিকা দৌড়ে আশ্রয় নেন প্রতিবেশীর বাড়িতে।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে সমাজে মুখ দেখাব কী করে? আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ রইল না আমার।
প্রেমিক আরিফের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।