আমতলী-পুরাকাটা পায়রা নদীর খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনায় তিন খেয়া নৌকার মাঝিকে দশ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। রবিবার বিকেলে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এ দন্ডের আদেশ দেন।
জানাগেছে, আমতলী-পুরাকাটা পায়রা নদীর খেয়া পারাপারে ইজারাদার জাকির হোসেন গত এক মাস ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছিল। জেলা পরিষদের মুল্য তালিকা চার্টে খেয়া পারাপারে মানুষের জন প্রতি ভাড়া ২০ টাকা থাকলেও তিনি ২৫ টাকা আদায় করতেন। এছাড়া সন্ধ্যা হলেও জনপ্রতি ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করতেন । এ নিয়ে মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে ইজারাদারের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ লাঞ্চিত করতেন এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীদের। রবিবার আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশরাফুল আলম পায়রা নদীর খেয়াঘাটে অভিযান চালায়। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আদালতের বিচারক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় খেয়া নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান তালুকদার, সিদ্দিকুর রহমান হাওলাদার ও শহীদুল ইসলাম খানকে দশ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
খেয়াঘাটের ইজারাদার মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আমি অনেক দুরে আছি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দশ দিনের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী তিন খেয়া নৌকার মাঝিকে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় তিন খেয়া নৌকার মাঝিকে দশ দিনের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয় ওই টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।