বরগুনায় জাল সনদে ৫ শিক্ষকের চাকুরী

এইচ এম কাওসার মাদবর জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা
বরগুনায় জাল সনদে ৫ শিক্ষকের চাকুরী

বরগুনার তিন উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয়ে মোঃ আবু তালেব, মারিয়া জাহান ,শিরিন আক্তার, তানজি রহমান মো. রুহুল আমিন নামে দুই শিক্ষিকা দুই শিক্ষক সহ চারজন জাল সনদে চাকুরী নেয়ায় এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের চাকুরীচ্যুত করে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই দুই শিক্ষককে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

জানাগেছে, পুরাঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক আবু তালেব মিয়া, এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৮৩) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত। ২০১০ সালে মারিয়া জাহান উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে এনটিআরসির জাল সনদে চাকুরী নেন। পাথরঘাটা উপজেলার সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের শিরিন আক্তার ও হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মো. রুহুল আমিন। অপর দিকে ২০১৫ সালে ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তানজি রহমান কম্পিউটার পদে চাকুরী নেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া গেছে।

মারিয়া জাহান চাকুরী নেয়ার পরপরই এমপিওভুক্ত হন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে চলে যান। গত ছয় বছরে তিনি অবৈধভাবে সরকারী বেতন-ভাতা বাবদ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫০ টাকা ভোগ করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে ভোগকৃত বেতন-ভাতার সমুদয় টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে তাকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম।

কিন্তু তিনি গত ৮ বছরে ওই টাকা ফেরত দেয়নি। গত ১৮ মে এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার সনদ জাল বলে ৪৪৪ ক্রমিককে সনাক্ত করেন। ওই চিঠিতে তাকে চাকুরীচ্যুত করে তার ভোগকৃত সমুদয় বেতন-ভাতা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া এবং তার বিরুদ্ধে নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে ফৌরদাজী আইনে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে মারিয়া জাহান ওই চাকুরী ছেড়ে বর্তমানে চাওড়া চন্দ্রা কারিগরি কলেজে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরী করছেন। ২০২১ সালে তিনি ওই পদে এমপিওভুক্ত হন।

তানজি রহমান তার সনদও জাল বলে এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৯৫) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত নন। শিরিন আক্তার এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৮২) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত নন।

এ বিষয়ে মারিয়া জাহান টাকা ফেরত দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সমস্যা ছিল বিধায় স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেছি। বর্তমানে আমি চাওড়া কারিগরি কলেজে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরী করছি।
ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, চাকুরী নেয়ার পরপরই বেতন-ভাতা না হওয়ায় তানজি রহমান চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন।
চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, মারিয়া জাহানকে চাকুরীর টাকা ফেরত চেয়ে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো টাকা ফেরত দেয়নি।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, পাঁচজনার ভুয়া নিয়োগে চাকরি হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি, অধিদপ্তরের নির্দেশনা এখনো পাইনি, আমরাও তাদেরকে নোটিশ করব।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বরগুনায় জাল সনদে ৫ শিক্ষকের চাকুরী

বরগুনায় জাল সনদে ৫ শিক্ষকের চাকুরী

বরগুনার তিন উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয়ে মোঃ আবু তালেব, মারিয়া জাহান ,শিরিন আক্তার, তানজি রহমান মো. রুহুল আমিন নামে দুই শিক্ষিকা দুই শিক্ষক সহ চারজন জাল সনদে চাকুরী নেয়ায় এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ তাদের চাকুরীচ্যুত করে টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই দুই শিক্ষককে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

জানাগেছে, পুরাঘাট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক আবু তালেব মিয়া, এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৮৩) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত। ২০১০ সালে মারিয়া জাহান উপজেলার চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিষয়ে এনটিআরসির জাল সনদে চাকুরী নেন। পাথরঘাটা উপজেলার সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের শিরিন আক্তার ও হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মো. রুহুল আমিন। অপর দিকে ২০১৫ সালে ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তানজি রহমান কম্পিউটার পদে চাকুরী নেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের প্রমান পাওয়া গেছে।

মারিয়া জাহান চাকুরী নেয়ার পরপরই এমপিওভুক্ত হন তিনি। ২০১৬ সালে তিনি স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে চলে যান। গত ছয় বছরে তিনি অবৈধভাবে সরকারী বেতন-ভাতা বাবদ পাঁচ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫০ টাকা ভোগ করেছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে ভোগকৃত বেতন-ভাতার সমুদয় টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে তাকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম।

কিন্তু তিনি গত ৮ বছরে ওই টাকা ফেরত দেয়নি। গত ১৮ মে এনটিআরসির সহকারী সচিব সেলিম সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার সনদ জাল বলে ৪৪৪ ক্রমিককে সনাক্ত করেন। ওই চিঠিতে তাকে চাকুরীচ্যুত করে তার ভোগকৃত সমুদয় বেতন-ভাতা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া এবং তার বিরুদ্ধে নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে ফৌরদাজী আইনে মামলা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে মারিয়া জাহান ওই চাকুরী ছেড়ে বর্তমানে চাওড়া চন্দ্রা কারিগরি কলেজে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরী করছেন। ২০২১ সালে তিনি ওই পদে এমপিওভুক্ত হন।

তানজি রহমান তার সনদও জাল বলে এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৯৫) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত নন। শিরিন আক্তার এনটিআরসি সনাক্ত করেছে তার (ক্রমিক নং ৪৮২) কিন্তু তিনি এমপিওভুক্ত নন।

এ বিষয়ে মারিয়া জাহান টাকা ফেরত দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সমস্যা ছিল বিধায় স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেছি। বর্তমানে আমি চাওড়া কারিগরি কলেজে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে চাকুরী করছি।
ঘটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, চাকুরী নেয়ার পরপরই বেতন-ভাতা না হওয়ায় তানজি রহমান চাকুরী ছেড়ে চলে গেছেন।
চুনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম বলেন, মারিয়া জাহানকে চাকুরীর টাকা ফেরত চেয়ে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো টাকা ফেরত দেয়নি।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, অধিদপ্তরের নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, পাঁচজনার ভুয়া নিয়োগে চাকরি হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি, অধিদপ্তরের নির্দেশনা এখনো পাইনি, আমরাও তাদেরকে নোটিশ করব।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত