লেখক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, “যখন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হচ্ছিল, তখন আমরা মাদ্রাসার কমিটিকে নিয়ে এসেছিলাম। তারা আমাদের শিক্ষানীতির মধ্যে আসতে রাজি হননি। তারা বলেছিলেন, ‘আমাদের জন্য কিছু করতে হবে না, সরকার থেকে কোনো টাকা নেবো না।’ কিন্তু আমার মনে হয় একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অবশ্যই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে, সরকারকে জানতে হবে। এটি বাইরের কোনো বিষয় নয়। তারা কী পড়াচ্ছে, সেটা যেন আমরা জানি।”
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
সভায় জাফর ইকবাল বলেন, “কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা শুধু একটি লেখাপড়া নয়, লাইফসিস্টেম। এই লাইফসিস্টেমে যা দেওয়া হয়, সেটি তাদের মানতে হয়। আমরা বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করবো- সে এই লাইফসিস্টেমে পড়াশোনা করতে চায় কিনা, যদি রাজি থাকে যাও পড়ো। কিন্তু তার আগে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া অমানবিক।”
কওমি শিক্ষার্থীর একটি চিঠির বিষয় তুলে ধরে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, “আমরা জানতে পারলাম মাদ্রাসার (কওমি) ছাত্রের ইংরেজি পড়া নিষিদ্ধ। ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করতে পারবে না। বাংলাটা আগে পড়ানো হতো না, এখন কোনোভাবে পড়ানো হচ্ছে। মাদ্রাসার ছাত্র হলেই সে জঙ্গি হবে আমি বিশ্বাসী করি না। আমি এসব ছেলেদের জন্য গভীর ভালোবাসা অনুভব করি। আমার মনে হয় তাদের জীবনটাকে আনন্দময় করা প্রয়োজন। যারা এখান থেকে পাস করে বেরুচ্ছে তারা কিন্তু ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) হিসেবে বেরুচ্ছে না। তাদের ম্যানপাওয়ার করার জন্য মেইনস্ট্রিম লেখাপড়ায় নিয়ে আসতে হবে।”