যমেকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

,
যমেকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ (যমেক) কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু। রোববার (১১ জুন) ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনজীবী নব কুমার কুন্ডুর মক্কেল মাগুরা জেলার সীমাখালি এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন যমেকে অফিস সহকারী পদে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ জুন পরীক্ষার একদিন আগে প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। পরের দিন ভায়বা নেবার দিনক্ষন ঠিক করা হয়। আমরা মনে করি অনৈতিকভাবে শুধুমাত্র বাছাইকৃতদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। যে কারণে ওই নিয়োগ পরীক্ষা আইনসিদ্ধ হয়নি। একারণে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। ত ানা হলে আদালতে মামলা করা হবে।

এর আগে সমলোচনার মুখে গত ৬ জুন অফিস সহকারীর ভায়বা পরীক্ষা স্থগিত করে যমেক কর্তৃপক্ষ। গত ৫জুন ১৮টি অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করা হয় মাত্র একদিন আগের নোটিশে। আগের দিন পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। অভিযোগ ছিল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মহিদুর রহমান আগামী ৮ জুন অবসরে গেছেন। আর হিসাব রক্ষক জয়নাল আবেদীন অবসরে চলে গেছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি নিয়মিত অফিস করেন। জয়নালের প্রেসক্রিমশনে কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল পরীক্ষার্থী প্রতি টাকা গ্রহন করেছে লাখ লাখ টাকা। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে যমেকে। অন্যান্যদের আবদুর রাজ্জাক কলেজে পরীক্ষা নেয়া হয়। নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়ম ফাঁস হওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে প্রশাসনের নির্দেশে ভায়বা স্থগিত করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে যশোর মেডিকেল কলেজের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ ডা: মো: মহিদুর রহমান জানান, নতুন অধ্যক্ষ এসে নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি আরও জানান, ১৮টি পদে আবেদন করেছিলেন ৫ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। আমরা যাচাই বাছাই করে প্রবেশপত্র ইস্যু করেছিলাম ২ হাজার ৬৭২ জনের। আগেই এদেরকে অবহিত করা হয়েছিল ৫ জুন পরীক্ষা হবে। এজন্য একদিন আগে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। আর আমার অবসরের সাথে এই পরীক্ষা নেবার কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু টাকার নেবার অভিযোগ এসেছে, আবার আমাকে নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে সেকারণে ভায়বা পরীক্ষা স্থগিত রেখেছি। পরবর্তীতে যিনি অধ্যক্ষ হবেন তিনি দেখবেন। এখনও লিগ্যাল নোটিশ হাতে পায়নি। তবে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত আছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

যমেকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

যমেকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

এবার নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ (যমেক) কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন জেলা জজ আদালতের আইনজীবী নব কুমার কুন্ডু। রোববার (১১ জুন) ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনজীবী নব কুমার কুন্ডুর মক্কেল মাগুরা জেলার সীমাখালি এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন যমেকে অফিস সহকারী পদে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ৫ জুন পরীক্ষার একদিন আগে প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। পরের দিন ভায়বা নেবার দিনক্ষন ঠিক করা হয়। আমরা মনে করি অনৈতিকভাবে শুধুমাত্র বাছাইকৃতদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। যে কারণে ওই নিয়োগ পরীক্ষা আইনসিদ্ধ হয়নি। একারণে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। ত ানা হলে আদালতে মামলা করা হবে।

এর আগে সমলোচনার মুখে গত ৬ জুন অফিস সহকারীর ভায়বা পরীক্ষা স্থগিত করে যমেক কর্তৃপক্ষ। গত ৫জুন ১৮টি অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহন করা হয় মাত্র একদিন আগের নোটিশে। আগের দিন পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। অভিযোগ ছিল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মহিদুর রহমান আগামী ৮ জুন অবসরে গেছেন। আর হিসাব রক্ষক জয়নাল আবেদীন অবসরে চলে গেছেন। কিন্তু তারপরেও তিনি নিয়মিত অফিস করেন। জয়নালের প্রেসক্রিমশনে কলেজের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল পরীক্ষার্থী প্রতি টাকা গ্রহন করেছে লাখ লাখ টাকা। যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে যমেকে। অন্যান্যদের আবদুর রাজ্জাক কলেজে পরীক্ষা নেয়া হয়। নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়ম ফাঁস হওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে প্রশাসনের নির্দেশে ভায়বা স্থগিত করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে যশোর মেডিকেল কলেজের সদ্য অবসরে যাওয়া অধ্যক্ষ ডা: মো: মহিদুর রহমান জানান, নতুন অধ্যক্ষ এসে নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তিনি আরও জানান, ১৮টি পদে আবেদন করেছিলেন ৫ হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী। আমরা যাচাই বাছাই করে প্রবেশপত্র ইস্যু করেছিলাম ২ হাজার ৬৭২ জনের। আগেই এদেরকে অবহিত করা হয়েছিল ৫ জুন পরীক্ষা হবে। এজন্য একদিন আগে প্রবেশপত্র দেয়া হয়েছে। আর আমার অবসরের সাথে এই পরীক্ষা নেবার কোন সম্পর্ক নেই। যেহেতু টাকার নেবার অভিযোগ এসেছে, আবার আমাকে নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে সেকারণে ভায়বা পরীক্ষা স্থগিত রেখেছি। পরবর্তীতে যিনি অধ্যক্ষ হবেন তিনি দেখবেন। এখনও লিগ্যাল নোটিশ হাতে পায়নি। তবে নিয়োগের সব প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত আছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত