মানুষের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি’র প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ভিটামিন ডি’র অভাবে শরীরে নানান রকমের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন রোগ হওয়া, সংক্রমণ, অবসাদ, হাড় ও কোমর ব্যথা ইত্যাদি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে দেখা যাবে কোনো না কোনো ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। তবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি’র ঘাটতির শিকার। তাদের পরেই রয়েছেন গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সীদের শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাবজনিত কারণে অবসাদগ্রস্ত হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যাদের শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব রয়েছে তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
বয়স বাড়তে থাকলে ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরির ক্ষমতা কমতে থাকে৷ ফলে বেশি বয়স হলে হাড় ক্ষয়ের রোগও বাড়তে থাকে। বয়স বাড়তে শুরু করার পর তাই সারাক্ষণ বাড়িতে বসে না থেকে নিয়মিত গায়ে রোদ লাগাতে হবে৷
ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি,র প্রাকৃতিক উৎস সেটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্তু ভিটামিন ডি পেতে দিনের ঠিক কোন সময়ের রোদ গায়ে লাগাতে হবে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যের রোদ ভিটামিন ডি’র খুব ভালো উৎস। অর্থাৎ, বাইরে বের হয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার আপনার তুলনায় ছোট, সেই সময়ের রোদে আপনার ত্বক সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে।
ভিটামিন ডি পেতে সূর্যের আলো ত্বকে সরাসরি লাগাতে হবে৷ পোশাক বা সানস্ক্রিন সরাসরি ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে বাধা দেয়। তাই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বের হলেও ভিটামিন ডি হাত-পা যেন উন্মুক্ত থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে৷ তাছড়া মাঝেমধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বের হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সাধারণত প্রতিদিন ২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলেই তা শরীরে ভিটামিন ডি’র জন্য যথেষ্ট।