কৃত্রিম মিষ্টি থেকে হতে পারে ক্যান্সার: ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
কৃত্রিম মিষ্টি থেকে হতে পারে ক্যান্সার: ডব্লিউএইচও
দেশি চিনি

কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় থেকে ক্যান্সার হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সংস্থার দুটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এই শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির ভাষ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও মূলকথা এক।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় থেকে মানুষের ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ক্যান্সারের শঙ্কা বোঝানোর জন্য আইএআরসির আরও দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে। ক্যাটাগরি দুটি আরও শক্তিশালী। একটি ক্যাটাগরি ‘মানুষের ক্যান্সার হওয়ার যথেষ্ট শঙ্কা’ রয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় থেকে ‘মানুষের ক্যান্সার হয়’। দ্বিতীয় ও শেষ ক্যাটাগরিটা ক্যান্সার হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।

ডব্লিউএইচওর আরেক প্রতিষ্ঠান ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার‌্যাল অর্গানাইজেশনের খাদ্যে অতিরিক্ত জিনিস সংযোজন বিষয়ক জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটির প্রতিবেদনে কৃত্রিম মিষ্টিজাত পণ্য-দ্রব্য খাওয়া নিয়েও প্রায় একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি নিজের প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে দৈনিক সর্বোচ্চ ৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কৃত্রিম মিষ্টি খেলে কোনো সমস্যা নেই। এর বেশি হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।

দুই প্রতিবেদনের মধ্যে মূল পার্থক্য, আইএআরসির প্রতিবেদনে দৈনিক কী পরিমাণ কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয় তা উল্লেখ করা হয়নি। ‍অন্যদিকে জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটির প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

১৯৮০ এর দশক থেকে খাদ্যে কৃত্রিম মিষ্টি বা স্পার্টেম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। স্পার্টেম চিনির চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি। কম ক্যালোরির মিষ্টান্ন দ্রব্যে এটার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। কোল্ড ড্রিংকস, চুইংগাম, কেক, টুথপেস্ট থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার করা হয় এমন বিপুল পণ্য-দ্রব্যে স্পার্টেম ব্যবহার করা হয়।

তবে উভয় প্রতিবেদনে সাধারণ সিদ্ধান্ত, কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করলে যে ক্যান্সার হয়, এ বিষয়ে তারা এখনও পর্যন্ত সীমিত প্রমাণ পেয়েছেন। অর্থাৎ এসব বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার।

ডব্লিউএইচওর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ড. ফ্রান্সেস্কো ব্রাঙ্কা বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় না নিয়ে স্পার্টেম ব্যবহার করা হলে তা অবশ্যই উদ্বেগের। এটা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার। তবে আমরা ভোক্তাদের স্পার্টেমযুক্ত খাদ্য খেতে বারণ করছি না। আমরা এ বিষয়ে কেবল সতর্ক হতে বলছি।

লন্ডনের কুইন ম্যারি ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন অন সল্ট, শুগার অ্যান্ড হেলথ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হ্যারিয়েট বার্ট গার্ডিয়ানকে বলেন, খাদ্য ও পানীয়তে স্পার্টেম কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে ম্যানুফ্যাকচারারদের নতুন করে ভাবতে হবে। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন দুটিতে মূলত এই দিকটার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কৃত্রিম মিষ্টি থেকে হতে পারে ক্যান্সার: ডব্লিউএইচও

কৃত্রিম মিষ্টি থেকে হতে পারে ক্যান্সার: ডব্লিউএইচও
দেশি চিনি

কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় থেকে ক্যান্সার হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সংস্থার দুটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এই শঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটির ভাষ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও মূলকথা এক।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় থেকে মানুষের ক্যান্সার হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

ক্যান্সারের শঙ্কা বোঝানোর জন্য আইএআরসির আরও দুটি ক্যাটাগরি রয়েছে। ক্যাটাগরি দুটি আরও শক্তিশালী। একটি ক্যাটাগরি ‘মানুষের ক্যান্সার হওয়ার যথেষ্ট শঙ্কা’ রয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাটাগরি কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় থেকে ‘মানুষের ক্যান্সার হয়’। দ্বিতীয় ও শেষ ক্যাটাগরিটা ক্যান্সার হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।

ডব্লিউএইচওর আরেক প্রতিষ্ঠান ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার‌্যাল অর্গানাইজেশনের খাদ্যে অতিরিক্ত জিনিস সংযোজন বিষয়ক জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটির প্রতিবেদনে কৃত্রিম মিষ্টিজাত পণ্য-দ্রব্য খাওয়া নিয়েও প্রায় একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি নিজের প্রতি কেজি ওজনের বিপরীতে দৈনিক সর্বোচ্চ ৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কৃত্রিম মিষ্টি খেলে কোনো সমস্যা নেই। এর বেশি হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বা ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।

দুই প্রতিবেদনের মধ্যে মূল পার্থক্য, আইএআরসির প্রতিবেদনে দৈনিক কী পরিমাণ কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয় তা উল্লেখ করা হয়নি। ‍অন্যদিকে জয়েন্ট এক্সপার্ট কমিটির প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

১৯৮০ এর দশক থেকে খাদ্যে কৃত্রিম মিষ্টি বা স্পার্টেম ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। স্পার্টেম চিনির চেয়ে ২০০ গুণ বেশি মিষ্টি। কম ক্যালোরির মিষ্টান্ন দ্রব্যে এটার ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। কোল্ড ড্রিংকস, চুইংগাম, কেক, টুথপেস্ট থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার করা হয় এমন বিপুল পণ্য-দ্রব্যে স্পার্টেম ব্যবহার করা হয়।

তবে উভয় প্রতিবেদনে সাধারণ সিদ্ধান্ত, কৃত্রিম মিষ্টিজাত খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করলে যে ক্যান্সার হয়, এ বিষয়ে তারা এখনও পর্যন্ত সীমিত প্রমাণ পেয়েছেন। অর্থাৎ এসব বিষয়ে আরও গবেষণা দরকার।

ডব্লিউএইচওর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক ড. ফ্রান্সেস্কো ব্রাঙ্কা বলেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনায় না নিয়ে স্পার্টেম ব্যবহার করা হলে তা অবশ্যই উদ্বেগের। এটা নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার। তবে আমরা ভোক্তাদের স্পার্টেমযুক্ত খাদ্য খেতে বারণ করছি না। আমরা এ বিষয়ে কেবল সতর্ক হতে বলছি।

লন্ডনের কুইন ম্যারি ইউনিভার্সিটির ওয়ার্ল্ড অ্যাকশন অন সল্ট, শুগার অ্যান্ড হেলথ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হ্যারিয়েট বার্ট গার্ডিয়ানকে বলেন, খাদ্য ও পানীয়তে স্পার্টেম কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে ম্যানুফ্যাকচারারদের নতুন করে ভাবতে হবে। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন দুটিতে মূলত এই দিকটার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত