মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব গ্লোবাল কমিউনিকেশনকে জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) জাতিসংঘের সম্মেলন কক্ষ-৪ এ অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যে যশোর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এ অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল বলেন, টেকসই উন্নয়ন, শান্তি, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার ইস্যুতে জাতিসংঘের এজেন্ডাকে সমর্থনে সংস্থাটির ডিপার্টমেন্ট অব গ্লোবাল কমিউনিকেশন (ডিজিসি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভুল, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করাটা সহজ হয়ে গেছে। এটা সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান ঘৃণামূলক বক্তব্য বৃদ্ধির জন্যও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এ সংক্রান্ত ডিজিসি’র #NoToHate প্রচারণার উদ্যোগটির প্রশংসা করি আমরা।
জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে বহু ভাষার প্রচলনে ডিজিসি’র প্রচেষ্টার প্রশংসা করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ক্ষুদ্র ভাষাগুলোকেও বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের। এতে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সৃজনশীল এবং সহনশীল সমাজ গঠনে সহায়তা রাখবে। আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে অংশীদার হওয়ায় ডিজিসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, টিপিসিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কমিশনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা এবং শান্তি কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতায় আমরা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অবদান তুলে ধরার পাশাপাশি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ডিজিসিকে অনুরোধ করছি।
বিশ্বব্যাপী গণহত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ এবং ঘৃণিত অপরাধ প্রতিরোধ আন্তর্জাতিক দিবস পালনের জন্য ডিজিসির প্রশংসা করেন কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি অতীতের গণহত্যা নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রমকে উৎসাহিত করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার ওপর জোর দেন।
ভাষণে বৈশ্বিক জলবায়ুর পরিবর্তনে ঠেকাতে জাতিসংঘের প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রমে আরও বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান কাজী নাবিল আহমেদ।
