কথায় আছে, প্রেম অন্ধ। কারও প্রেমে অন্ধ হলে জাত, ধর্ম, প্রথা কোনোকিছুই আর বিবেচ্য বিষয় হয় না। বিপরীত লিঙ্গের বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য বা গুণে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মানুষ তাকে জীবনসঙ্গী করে নেওয়ার স্বপ্ন দেখে। তবে ফোন চুরির ঘটনাও যে প্রেমের উপলক্ষ্য হতে পারে, তা বিশ্বাস করতে একটু কষ্টই হয়।
অবিশ্বাস্য এ ঘটনাই ঘটেছে ইমানুয়েলা নামে এক ব্রাজিলিয়ান নারীর জীবনে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক ব্রাজিলিয়ান দম্পতির সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়। সেখানে ইমানুয়েলা জানান, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্কটা প্রথাগত প্রেমের গল্পের আদলে গড়ে ওঠেনি। বরং দুজনের মনের আদানপ্রদান হয়েছিল মুঠোফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
সাক্ষাৎকারে ইমানুয়েলা জানান, ব্রাজিলে আনমনে রাস্তা পারাপারের সময় হঠাৎ এক ব্যক্তি তার হাতের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়। চোখের সামনে চুরি হতে দেখেও নিরুপায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তার কিছুই করার ছিল না। কিন্তু তিনি জানতেন না, এই ফোন খোয়ানোর মাধ্যমেই স্বপ্নের পুরুষের দেখা পেতে যাচ্ছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারের সময় ইমানুয়েলার ভালোবাসার মানুষটি ছিলেন তার পাশেই। এ ব্যক্তিটিই ছিলেন সেই মোবাইল ফোন চোর।
চুরি তো হলো। কিন্তু তারপরে যা হলো, তা হয়ত চোরও ঘুণাক্ষরে ভাবেননি। ঘরে ফেরার পর সেই চোরাই ফোনে ইমানুয়েলার ছবি দেখে চোর মহাশয় রীতিমতো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান।
ইমানুয়েলার পাশে দাঁড়ানো সেই তরুণ বলেন, যখন আমি ফোনে তার (ইমানুয়েলা) ছবি দেখি, আমি নিজেকে বলতে লাগলাম- ‘কী সুন্দর নারী! তুমি এমন সুন্দর মানুষ প্রতিদিন দেখবে না।
এরপর ফোনটি চুরির জন্য তাকে পেয়ে বসে অনুশোচনা।
ঘটনা অনুশোচনাতেই শেষ হতে পারত। কিন্তু ফোন ঘেঁটে তিনি ইমানুয়েলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
একপর্যায়ে সাক্ষাৎকারগ্রহীতা সেই তরুণকে মজার ছলে বলেন, অর্থাৎ আপনি প্রথমে তার ফোন এবং পরে মন চুরি করলেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট জানায়, ব্রাজিলের এই যুগল গত দুই বছর ধরে প্রেম করছেন।
গত ২১ জুলাই এই প্রেমিক যুগলের সাক্ষাৎকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন মিল্টন নিভস নামের এক সাংবাদিক। প্রকাশের পরপরই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ইতোমধ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজারের বেশিবার দেখা হয়েছে। অনেকেই এতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানান।
এক ব্যবহারকারী বলেন, ব্রাজিল কখনোই আমাকে চমকে দিতে ব্যর্থ হয়নি।