স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “আগস্টে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় ডেঙ্গু রোগী ধীরেধীরে কমে স্বস্তিকর জায়গায় আসবে। দেখা যায়, যেকোনো রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় একটা সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ হয়ে এরপর কমতে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর একইভাবে মিল থাকবে তাও নয়।”
রবিবার (৬ আগস্ট) দেশের চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
ডা. মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ২০২২ সালের অক্টোবরে এসে ডেঙ্গু কমতে শুরু করে। তবে এবার সেটা আগস্টেও হতে পারে। আগস্ট মাস ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় এ রোগে আক্রান্ত কিছুটা কমে আসবে এবং একটা স্বস্তিকর জায়গায় যাওয়া যাবে।
অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আরও জানান, জুলাই মাসজুড়ে ডেঙ্গু প্রতিনিয়ত বেড়েছে। বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ঢাকার বাইরে আগে যে হারে রোগী বাড়ছিল, এখন সে হারে বাড়ছে না।
তিনি বলেন, “রোগীর সংখ্যা এতদিন বেড়েছে এবং সে জায়গায় স্থিতিশীল রয়েছে। যখন এ স্থিতিশীলতা থেকে রোগী কমার দিকে যাবে তখন আমাদের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমবে। তবে তার আগ পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাদের থাকতে হবে।”
এডিস মশা নিধনে সিটি কর্পোরেশন নতুন ওষুধ নিয়ে এসেছে, সেটি কতটুকু কার্যকর হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিধন নিয়ে আমার আসলে পুরোপুরি জানা নেই। তবে সিটি কর্পোরেশন যে ওষুধগুলো এ পর্যন্ত দিয়ে এসেছে, সবগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, এরপরেই সেটি প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা আশ করি, যেহেতু তারা নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, অবশ্যই এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে।”
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদারকি করছে।”ঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা