আজ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু

আজ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু

শহর থেকে একটু উঁচুতেই কিংস্টন শহরতলি। এ কারণে কনকনে বাতাসে হাড় হিম করা ঠাণ্ডার তীব্রতা হোবার্ট শহরের চেয়ে বেশি। এর মধ্যেই টুইন ওভালের ক্রিকেট মাঠের বাউন্ডারি সীমানা ধরে নির্বিকারভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন হাসান মাহমুদ। কৌতূহল দমাতে না পারা একজন তাঁকে জিজ্ঞেসই করে বসলেন, ‘কী, ঠাণ্ডা লাগছে না?’ জবাবে ঠাণ্ডা জয়ের ঘোষণাই যেন দিয়ে বসলেন তরুণ এই ফাস্ট বোলার, ‘এ আর এমন কী শীত! ক্রাইস্টচার্চের ঠাণ্ডায় পাস করে এসেছি না?’

নিউজিল্যান্ডের ওই শহরে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে তুষারপাতও দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

মাইনাস এক ডিগ্রি তাপমাত্রায় শরীর অভ্যস্ত করে নেওয়ার কাজটিও সেখান থেকেই সেরে এসেছেন তাঁরা। এরপর হোবার্টের শীত জয় করা গেলেও তা কিছুতেই ম্যাচ জেতার নিশ্চয়তা হতে পারছে না। একেই নিউজিল্যান্ড থেকে সব ম্যাচ হেরে এসেছেন সাকিব আল হাসানরা। অস্ট্রেলিয়ায় এসেও বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হার। টানা হারের মধ্যে থাকা দলের আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচও ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। প্রকৃতি সদয় না হওয়ায় ঠিকঠাক অনুশীলনটাও করা যায়নি। তাই আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ে ফেরার পরীক্ষায় বাংলাদেশ উতরে যেতে পারবে কি না, এমন সংশয়ই উচ্চারিত হচ্ছিল কিছুদিন ধরে।
কিন্তু স্লগ করে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারার মতো করে সাকিব যেন সব সন্দেহ-সংশয় উড়িয়ে নিয়ে ফেলতে চাইলেন মাঠের বাইরেই, ‘আমি মনে করি, আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। সবাই ফিট এবং খেলার জন্য তৈরি। আমার মতে নিউজিল্যান্ডে খেলা চার ম্যাচ আমাদের সাহায্য করবে। বিশেষ করে হোবার্টের আবহাওয়া অনেকটা ক্রাইস্টচার্চের মতোই। সবাই প্রস্তুত এবং আগামীকালের (আজকের) ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে। ’

বেলেরিভ ওভালে স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) শুরু হতে যাওয়া ম্যাচ সামনে রেখে তা মানতে অবশ্য বয়েই গেছে নেদারল্যান্ডসের! তারা বরং বাংলাদেশের প্রস্তুতির অভাবকেই কাজে লাগাতে চায়। দলটির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার টম কুপার সম্ভাবনায় নিজেদের এগিয়ে রাখতে চাইলেন, ‘সুপার টুয়েলভে কিছু শক্তিশালী দল আছে। তবে আমরা আমাদেরও সুযোগ দেখছি (ম্যাচ জেতার এবং তা বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। আমরা কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে এসেছি। আর বাংলাদেশ মাত্র শুরু করছে। ওদের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেছে, মাত্র একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছে ওরা। আমরা কিন্তু খেলার মধ্যেই আছি। ’

২০১২ সালে হেগে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে হারানো সেই ম্যাচ খেলা এই ডাচ ক্রিকেটার শক্তি-সামর্থ্যেও নিজেদের পিছিয়ে রাখছেন না, ‘আপনারা বলছেন আমরা জিতলে অঘটন হবে। কিন্তু বিষয়টি আমি সেভাবে দেখছি না। আমরা এখানে লড়াই করতে এসেছি। অতীতে আমরা ওদের বিপক্ষে সমানে-সমান খেলেছি। ওদের হারাতে না পারার কোনো কারণ দেখছি না। ’ যদিও অনুশীলনবিহীন তিনটি দিন পার করার পর গতকাল বাংলাদেশের অনুশীলন ছিল প্রাণে ভরপুর।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সকালে তা না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে চলে যান সাকিবরা। দুই ঘণ্টা অনুশীলন করার কথা থাকলেও তাঁরা পার করে দেন তিন ঘণ্টা। সেই পর্ব শেষ হতে না হতেই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের সক্ষমতার জানানও দিতে চাইলেন সাকিব, ‘দেখুন, এখানে ১৫ জন খেলতে এসেছে। সবাই তৈরি এবং ফিট। প্রতিটি পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রাখে। আমি ব্যক্তিগভাবে চাই, সবাই সেটি পারবে ও খোলা মনে থাকবে। যাতে দলের প্রয়োজনে যাকে যখন যেখানে খেলতে হয়, সেখানে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে। ’

এই সংস্করণে এখনো ভালো দল হয়ে উঠতে না পারার বাস্তবতা মেনেও বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেদের সেরা বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখলেন, ‘এটি এমন একটি সংস্করণ যেখানে আমরা কখনোই অত ভালো করিনি। তবু আমি বিশ্বাস করি, এই বিশ্বকাপে আমাদের এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, যেটি আমরা এর আগে কোনো বিশ্বকাপেই করিনি। ’ দুটি ম্যাচ জিতলেও এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ হবে। কারণ সেই ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো বাংলাদেশ পরের ছয়টি আসরে মূল পর্বে আর একটিও জয়ের মুখ দেখেনি। ডাচদের হারালেও আগের সাফল্যকে ছুঁয়ে ফেলা যায়। ছুঁয়ে ফেলতে গেলে আগে ম্যাচও হতে হবে। সেটি হবে তো। গতকাল হোবার্টে একফোঁটাও বৃষ্টি না হওয়া আশাব্যঞ্জক অবশ্যই। তবে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো অস্ট্রেলিয়া সময় গত রাতেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখিয়েছে শতকরা ৮১ ভাগ। অথচ দুপুরে সেটি আগের দিনের ৯০ থেকে নেমে এসেছিল ৭১ শতাংশে।

বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের উপায় নেই বলে সাকিবরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণ নিয়েই ভাবছেন বেশি। পাঁচটি ম্যাচেই জিততে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই শুরু করতে হবে। প্রথম লক্ষ্য পূরণের আগে বেলেরিভ ওভালে অনুশীলনও করা হয়নি সাকিবদের। ডাচদেরও একই অবস্থা। উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিতে গতকাল সকালে সেখানে গেলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরাম। গিয়ে জানলেন এই ম্যাচ হতে চলেছে ব্যবহৃত উইকেটে। যেখানে প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ডের ১৭৬ রান তাড়া করে জিতেছে আইরিশরা। উইকেট ব্যবহৃত বলেই সেখানে ধীরগতির হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাতে স্পিনারদের সুবিধা হওয়ার কথা। একাদশ সজ্জায়ও তা প্রভাব ফেলবে কি না, তা বলবে সময়ই। এমনিতে অনুশীলনে সে বিষয়ে একটি ধারণা অন্তত মিলেছে। তিনজন পেসারই খেলানোর কথা। তবে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে একমাত্র সাকিবই থাকবেন, নাকি তাঁর সঙ্গী হবেন আরেকজন, সেই কৌতূহল বাংলাদেশ দল জিইয়ে রাখছে টসের আগ পর্যন্ত।

তবে লক্ষ্য নির্ধারণ তো আগেই করে ফেলতে হয়। সেটি তারা করেছেও। ঠাণ্ডা জয়ের পর চোখ রাখছে নিজেদের সেরা বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার দিকেই!

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আজ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু

আজ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু

শহর থেকে একটু উঁচুতেই কিংস্টন শহরতলি। এ কারণে কনকনে বাতাসে হাড় হিম করা ঠাণ্ডার তীব্রতা হোবার্ট শহরের চেয়ে বেশি। এর মধ্যেই টুইন ওভালের ক্রিকেট মাঠের বাউন্ডারি সীমানা ধরে নির্বিকারভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন হাসান মাহমুদ। কৌতূহল দমাতে না পারা একজন তাঁকে জিজ্ঞেসই করে বসলেন, ‘কী, ঠাণ্ডা লাগছে না?’ জবাবে ঠাণ্ডা জয়ের ঘোষণাই যেন দিয়ে বসলেন তরুণ এই ফাস্ট বোলার, ‘এ আর এমন কী শীত! ক্রাইস্টচার্চের ঠাণ্ডায় পাস করে এসেছি না?’

নিউজিল্যান্ডের ওই শহরে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে গিয়ে তুষারপাতও দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

মাইনাস এক ডিগ্রি তাপমাত্রায় শরীর অভ্যস্ত করে নেওয়ার কাজটিও সেখান থেকেই সেরে এসেছেন তাঁরা। এরপর হোবার্টের শীত জয় করা গেলেও তা কিছুতেই ম্যাচ জেতার নিশ্চয়তা হতে পারছে না। একেই নিউজিল্যান্ড থেকে সব ম্যাচ হেরে এসেছেন সাকিব আল হাসানরা। অস্ট্রেলিয়ায় এসেও বিশ্বকাপের অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হার। টানা হারের মধ্যে থাকা দলের আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচও ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। প্রকৃতি সদয় না হওয়ায় ঠিকঠাক অনুশীলনটাও করা যায়নি। তাই আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ে ফেরার পরীক্ষায় বাংলাদেশ উতরে যেতে পারবে কি না, এমন সংশয়ই উচ্চারিত হচ্ছিল কিছুদিন ধরে।
কিন্তু স্লগ করে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারার মতো করে সাকিব যেন সব সন্দেহ-সংশয় উড়িয়ে নিয়ে ফেলতে চাইলেন মাঠের বাইরেই, ‘আমি মনে করি, আমাদের খুব ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। সবাই ফিট এবং খেলার জন্য তৈরি। আমার মতে নিউজিল্যান্ডে খেলা চার ম্যাচ আমাদের সাহায্য করবে। বিশেষ করে হোবার্টের আবহাওয়া অনেকটা ক্রাইস্টচার্চের মতোই। সবাই প্রস্তুত এবং আগামীকালের (আজকের) ম্যাচ খেলতে মুখিয়ে। ’

বেলেরিভ ওভালে স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) শুরু হতে যাওয়া ম্যাচ সামনে রেখে তা মানতে অবশ্য বয়েই গেছে নেদারল্যান্ডসের! তারা বরং বাংলাদেশের প্রস্তুতির অভাবকেই কাজে লাগাতে চায়। দলটির সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার টম কুপার সম্ভাবনায় নিজেদের এগিয়ে রাখতে চাইলেন, ‘সুপার টুয়েলভে কিছু শক্তিশালী দল আছে। তবে আমরা আমাদেরও সুযোগ দেখছি (ম্যাচ জেতার এবং তা বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে)। আমরা কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে এসেছি। আর বাংলাদেশ মাত্র শুরু করছে। ওদের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেছে, মাত্র একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছে ওরা। আমরা কিন্তু খেলার মধ্যেই আছি। ’

২০১২ সালে হেগে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশকে হারানো সেই ম্যাচ খেলা এই ডাচ ক্রিকেটার শক্তি-সামর্থ্যেও নিজেদের পিছিয়ে রাখছেন না, ‘আপনারা বলছেন আমরা জিতলে অঘটন হবে। কিন্তু বিষয়টি আমি সেভাবে দেখছি না। আমরা এখানে লড়াই করতে এসেছি। অতীতে আমরা ওদের বিপক্ষে সমানে-সমান খেলেছি। ওদের হারাতে না পারার কোনো কারণ দেখছি না। ’ যদিও অনুশীলনবিহীন তিনটি দিন পার করার পর গতকাল বাংলাদেশের অনুশীলন ছিল প্রাণে ভরপুর।

বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও সকালে তা না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠে চলে যান সাকিবরা। দুই ঘণ্টা অনুশীলন করার কথা থাকলেও তাঁরা পার করে দেন তিন ঘণ্টা। সেই পর্ব শেষ হতে না হতেই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেদের সক্ষমতার জানানও দিতে চাইলেন সাকিব, ‘দেখুন, এখানে ১৫ জন খেলতে এসেছে। সবাই তৈরি এবং ফিট। প্রতিটি পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রাখে। আমি ব্যক্তিগভাবে চাই, সবাই সেটি পারবে ও খোলা মনে থাকবে। যাতে দলের প্রয়োজনে যাকে যখন যেখানে খেলতে হয়, সেখানে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে। ’

এই সংস্করণে এখনো ভালো দল হয়ে উঠতে না পারার বাস্তবতা মেনেও বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজেদের সেরা বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখলেন, ‘এটি এমন একটি সংস্করণ যেখানে আমরা কখনোই অত ভালো করিনি। তবু আমি বিশ্বাস করি, এই বিশ্বকাপে আমাদের এমন কিছু করার সামর্থ্য আছে, যেটি আমরা এর আগে কোনো বিশ্বকাপেই করিনি। ’ দুটি ম্যাচ জিতলেও এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ হবে। কারণ সেই ২০০৭ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো বাংলাদেশ পরের ছয়টি আসরে মূল পর্বে আর একটিও জয়ের মুখ দেখেনি। ডাচদের হারালেও আগের সাফল্যকে ছুঁয়ে ফেলা যায়। ছুঁয়ে ফেলতে গেলে আগে ম্যাচও হতে হবে। সেটি হবে তো। গতকাল হোবার্টে একফোঁটাও বৃষ্টি না হওয়া আশাব্যঞ্জক অবশ্যই। তবে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো অস্ট্রেলিয়া সময় গত রাতেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখিয়েছে শতকরা ৮১ ভাগ। অথচ দুপুরে সেটি আগের দিনের ৯০ থেকে নেমে এসেছিল ৭১ শতাংশে।

বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণের উপায় নেই বলে সাকিবরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণ নিয়েই ভাবছেন বেশি। পাঁচটি ম্যাচেই জিততে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েই শুরু করতে হবে। প্রথম লক্ষ্য পূরণের আগে বেলেরিভ ওভালে অনুশীলনও করা হয়নি সাকিবদের। ডাচদেরও একই অবস্থা। উইকেট সম্পর্কে ধারণা নিতে গতকাল সকালে সেখানে গেলেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরাম। গিয়ে জানলেন এই ম্যাচ হতে চলেছে ব্যবহৃত উইকেটে। যেখানে প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ডের ১৭৬ রান তাড়া করে জিতেছে আইরিশরা। উইকেট ব্যবহৃত বলেই সেখানে ধীরগতির হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাতে স্পিনারদের সুবিধা হওয়ার কথা। একাদশ সজ্জায়ও তা প্রভাব ফেলবে কি না, তা বলবে সময়ই। এমনিতে অনুশীলনে সে বিষয়ে একটি ধারণা অন্তত মিলেছে। তিনজন পেসারই খেলানোর কথা। তবে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে একমাত্র সাকিবই থাকবেন, নাকি তাঁর সঙ্গী হবেন আরেকজন, সেই কৌতূহল বাংলাদেশ দল জিইয়ে রাখছে টসের আগ পর্যন্ত।

তবে লক্ষ্য নির্ধারণ তো আগেই করে ফেলতে হয়। সেটি তারা করেছেও। ঠাণ্ডা জয়ের পর চোখ রাখছে নিজেদের সেরা বিশ্বকাপ উপহার দেওয়ার দিকেই!

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত