যশোরে প্রথমবারের মতো এইচআইভি পজেটিভ রোগীকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিলুফার ইসলাম এমিলি। তাকে সহায়তা করেন মেডিকেল অফিসার ডা. মাশকিয়া জান্নাত পিয়তী।
রোববার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওই রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতালের আরএমও জানান, ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ওই রোগীর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ডা. নিলুফার ইসলাম এমিলি জানান, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওইপরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে ওই রোগীবিল্লাল হোসেনর শরীরে এইচআইভি পজেটিভ শনাক্ত হয়। পরে হলে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়। কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে তিনি ওই রোগীর চিকিৎসাসেবা শুরু করেন।
রোববার তার সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে মা ও নবজাতক ছেলে সুস্থ আছেন। ডা. নিলুফা ইসলাম এমিলি জানান, এইচআইভি পজেটিভ কোন রোগীকে দক্ষিণ বর্গে তিনি প্রথম সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তার চিকিৎসাপেশায় যুক্ত হলো নতুন এক অভিজ্ঞতা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. পার্থ প্রতীম চক্রবর্ত্তী জানান, পাঁচ সদস্যের তদন্ত বোর্ড গঠন করে এইচ আইভি পজেটিভ ওই নারীর সিজার করা হয়। বোর্ডে ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. নিলুফার ইসলাম এমিলি, অজ্ঞানের ডা. জাফর ইকবাল, মেডিকেল অফিসার ডা. মাসকিয়া জান্নাত প্রিয়তী, ডা. ইদ্রিস আলী ও ডা. গোলাম মোর্তুজা। এছাড়া হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার কার্যক্রম তদারকি করেন।
ডা. গোলাম মোর্তুজা জানান, এইচআইভি পজেটিভ রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার ঝুঁকির কাজ। এরপরেও চিকিৎসকরা তাকে অস্ত্রোপচার করেছেন। প্রসূতি ওয়ার্ডে ওই রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, এইচআইভি পজেটিভ ওই রোগীর বাড়ি যশোরে। রোববার জেনারেল হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারে তিনি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। অস্ত্রোপচার চলাকালীন তিনি ছাড়াও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও ডেপুটি সিভিল সার্জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস আরও জানান, দক্ষিণবর্গে এই প্রথম যশোরে কোন এইচআইভি রোগীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হলো। এটা অস্বাভাবিক একটা ভালো কাজ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগেরপক্ষ থেকে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ও মেডিকেল টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান সিভিল সার্জন ।