জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাবরেজিস্ট্রার পাগল দাবি করে কলম বিরতির ঘোষনা দিয়েছেন দলিল লেখকরা।
রোববার দুপুরে দলিল লেখক সমিতির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া স্বাক্ষরিত একপত্রে কলম বিরতির ঘোষনা দেয়া হয়। এতে দারুণ ভাবে হয়রানিতে পড়েন দলিল করতে আসাা দাতা গ্রহীতারা। সাবরেজিস্ট্রারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত এই কলম বিরতি চলবে বলে জানান দলিল লেখকরা।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। যোগদান করেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। দলিল লেখকদের কাছে দলিল প্রতি সাড়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। চাহিদামত টাকা না দিলে দলিল না করার হুশিয়ারি দেন। সেই সাথে তার কোন কাজে প্রতিবাদ করলে সনদ বাতিলের হুমকিও দেন তিনি। এই নিয়ে দলিল লেখকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার দলিল প্রতি বাড়তি টাকা দিতে পারবেন না বলে সাবরেজিস্ট্রারকে জানান দলিল লেখকরা। এতেই দারুণ ভাবে ক্ষিপ্ত হন সাবরেজিস্ট্রার। বনিবনা না হওয়ায় কথিত সংবাদ সম্মেলন করে রেজিস্ট্রি অফিস দুর্র্নীতি মুক্তের ঘোষণা দেন। সেই সাথে দলিলের প্রতি পাতার জন্য শুধু ১৫ টাকা করে নিতে পারবেন দলিল লেখকরা এমন আদেশ দেন। এর বেশি নিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেন।
বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন,দলিল লেখক সমিতির নামে কোনদিন কোন চাদাঁ নেয়া হয়নি। অথচ সাবরেজিস্ট্রার নিজের দোষ ধামাচাপা দিতেই সমিতি ও দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। কোন কারন ছাড়াই সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখকদের সাথে অসাদাচরন,দলিলের দাতা গ্রহীতাদের নানা ভাবে হয়রানি ও খারাপ আচরন করেন সাবরেজিস্ট্রার। সকল দলিল লেখকরা মনে করেন সাবরেজিস্ট্রার পাগল,তার চিকিৎসা দরকার। তার অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কলম বিরতি থাকবে।
এ ব্যাপারে সাবরেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, দলিল লেখক সমিতির নামে বাড়তি টাকা আদায় ও অফিসে দুর্নীতি বন্ধের ঘোষনা দিয়ে অফিস আদেশ জারির কারনে দলিল লেখকরা আমার প্রতি মনোক্ষুন্ন হয়। এরপর থেকেই দলিল লেখকরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তবে অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে তিনি আর নীতিতে অটল থাকবেন বলে জানান।