পূর্ণাঙ্গ পরিবেশবান্ধব পোশাক শিল্প গড়ার পথে আরও অগ্রগতি লাভ করেছে বাংলাদেশ। দেশে নতুন করে সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে আরও একটি কারখানা। এ নিয়ে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৪টিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার জন্য এলইইডি সনদ দেয়।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বরে গাজীপুরের ইন্টিগ্রা ড্রেসেস লিমিটেড কারখানা ১১০ পয়েন্টের মধ্যে ৯৯ পয়েন্ট নিয়ে গোল্ড প্রত্যয়ন পেয়েছে।
২০২২ সালে মোট ৩০ কারখানা ইউনিট এলইইডি সার্টিফিকেশন পেয়েছে, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০৪টি পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার মধ্যে ৭৪টি সিলভার ও ১১৬টি গোল্ড ও বাকিগুলো অন্যান্য সনদ পেয়েছে।
বিজিএমইএ জানায়, এর বাইরে ৫০০টি কারখানা হয় নিবন্ধিত বা ইউএসজিবিসি এর এলইইডি সার্টিফিকেশনের অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সবুজ কারখানার দিক দিয়ে তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতিতে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এমন কারখানা শুরু করতে প্রথমে অতিরিক্ত ব্যয় লাগলেও পরে এতে অন্যান্য অনেক খরচ কমে আসে।
বিজিএমইএর তথ্য বলছে, সবুজ কারখানাগুলো ৪০% প্রাকৃতিক শক্তি, পানি ৩০% ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনকে আরও সহজ করে। এতে করে পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
এজন্য কারখানার মালিকদের যেমন ভবন নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলতে হয়। তেমনই কারখানাগুলো কর্মীদের জন্য নিরাপদ কাজের পরিবেশ দেয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থায়িত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানি হ্রাস এবং দক্ষতার ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলা করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
বিজিএমইএ কর্মকর্তারা উন্নয়নশীল পোশাক খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি সবুজ ক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ ১০০টি পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার মধ্যে ৫৪ টি বাংলাদেশে। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে নয়টি ও বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি এলইইডি প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে। আর বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোরিং কারখানাটি ১০৪ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশে রয়েছে।
পোশাক প্রস্তুতকারকদের মতে, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর গ্রিন ফ্যাক্টরি বিল্ডিংয়ের দিকে অগ্রসর হওয়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছিল। ওই ঘটনায় ১,১৩৪ জন প্রাণ হারান ও ২,০০০ হাজার জনের বেশি আহত হন।