যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করা প্রতিটি নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির সাংবিধানিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, “ভোট দেওয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট না দেওয়াও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়। যারা ভোট ঠেকাতে আসে তাদের অপতৎপরতা প্রতিহত করাও সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির।”
কাউন্সিলরদের কাছ থেকে কোনো ঝুঁকি কিংবা নাশকতার কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “নির্বাচন উপলক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট ঝুঁকি নেই, নাশকতা নেই। কাউন্সিলররা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার লোকজন ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকা মহানগর এলাকায় দুটি সিটি কর্পোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেখানে ১৭২ জন কাউন্সিলর রয়েছে। আজ কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কোনো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা আছে, সেটি আমাদের অবহিত করেছেন তারা।”
সম্প্রতি কিছু রাজনৈতিক দলের নাশকতা সংক্রান্ত কিছু কার্যক্রম, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যেগুলো হচ্ছে সেগুলো প্রতিরোধে পুলিশের সঙ্গে কাউন্সিলররা একসঙ্গে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনে ভোটদানে নিরুৎসাহিত ও ভোটদানে বাধা প্রদান কার্যক্রম যাতে কেউ না করতে পারে সেজন্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, “তারাও ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে চেয়েছে এবং আগামী দিনে সবাই যাতে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।”
